এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আতঙ্কের মাঝে সাধারণ মানুষের খাদ্যের অভাব দূর করতে রেশন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

করোনা আতঙ্কের মাঝে সাধারণ মানুষের খাদ্যের অভাব দূর করতে রেশন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের


করোণা মহামারীর ফলে রাজ্য এবং দেশ লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ যাতে নিঃস্ব হয়ে না পারেন, তাদেরকে যাতে সহযোগিতা করা হয়, তার জন্য চেষ্টা করছে সমস্ত শাসকবর্গেরা। আর এমতাবস্থায় রেশন ব্যবস্থা নিয়ে আবার আশার আলো শোনাল কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই খাদ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, রাজ্য সরকারগুলোর নিজস্ব রেশন প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নির্দিষ্ট দামে চাল এবং গম সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যেখানে মাথা পিছু মাসে 5 কেজি করে চালের ক্ষেত্রে প্রতি কেজি চালের দাম 22 টাকা এবং গমের ক্ষেত্রে প্রতি কেজি গমের দাম 21 টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে ই-অকশনের মাধ্যমে তা কিনতে হত রাজ্য সরকারকে, যেখানে প্রতি কেজিতে খরচ পড়ত ২০-২১ টাকা। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতিতে ই-অকশন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায়, রাজ্যগুলির জন্য নির্দিষ্ট দাম বেঁধে দিল কেন্দ্র সরকার। শুধু তাই নয়, অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে, যারা করোনায় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই সেই সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও একই দামে চাল এবং গম সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ওই সমস্ত সংস্থা যতটা প্রয়োজন ততটা চাল-গম এই কেন্দ্রীয় মূল্যে কিনতে পারবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা অন্তদয় শ্রেণীর রেশন গ্রাহকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে ৩ টাকা কেজি দরে চাল এবং ২ টাকা কেজি দরে কম দেয়। আর এখন, করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যান অন্ন যোজনার পক্ষ থেকে রেশন গ্রাহকদের অতিরিক্ত 5 কেজি করে খাদ্যশস্য বিনা পয়সায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের এনএফএসএ গ্রাহকের সংখ্যা ছয় কোটি দুই লক্ষের মত। রাজ্য সরকার অনেক আগে থেকেই রেশনে এই এনএফএসএ গ্রাহকদের অতিরিক্ত এক টাকা ভর্তুকি দিয়ে দু টাকা দরে জিনিস বিক্রি করত বলে দাবি। তবে বর্তমানে সেই গ্রাহকদের বিনা পয়সায় চাল, গম এবং আটা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার থেকে প্রায় 60 লক্ষ গ্রাহককে কুপনের মাধ্যমে 5 কেজি করে চাল গম এবং আটা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ভর্তুকি দিয়ে দুই নম্বর রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে প্রায় দেড় কোটি রেশন গ্রাহককে বাজারমূল্যে থেকে অনেক কম দামে জিনিস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আর এমতাবস্থায় কেন্দ্রের এই নয়া সিদ্ধান্তে রাজ্য সরকারের খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় যে চার কোটি মানুষ রয়েছেন, তারা এফসিআইয়ের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যে চাল এবং গম পাবেন বলে খবর। যদিও বা রাজ্যের বক্তব্য, এতে লাভের লাভ কিছুই হবে না, বরঞ্চ খরচ আরও বাড়তে পারে বলে দাবি উঠেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “রেশন ব্যবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। মুখ্যসচিব এই কমিটির প্রধান। রেশন সংক্রান্ত বিষয়গুলো কমিটি দেখছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!