এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন্দ্রীয় সরকারকে 420 বলে বিতর্কে জড়ালেন প্রাক্তন সাংসদ, জোর গুঞ্জন!

কেন্দ্রীয় সরকারকে 420 বলে বিতর্কে জড়ালেন প্রাক্তন সাংসদ, জোর গুঞ্জন!

 

রাজনীতিতে শালীনতা থাকা দরকার। কিন্তু অনেক সময়ই আক্রমণ করতে গিয়ে সেই শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করে যান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। এক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই হল। সূত্রের খবর, শুক্রবার বর্ধমানের কো-অর্ডিনেশন কমিটির রাজ্য সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে উপস্থিত হন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।

আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারকে “420” বলে কটাক্ষ করেন তিনি। যা নিঃসন্দেহে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এনে দিয়েছে রায়গঞ্জের এই প্রাক্তন সিপিএম সাংসদকে। জানা গেছে, এদিনের এই সম্মেলন থেকে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করতে গিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, “পেঁয়াজের দাম যখন কমানোর কথা, তখন দিল্লিতে চুপচাপ বসে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আসলে সরকার 420। তাই পেয়াজের দামও 120।”

আর সিপিএমের হেভিওয়েট নেতার কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্দেশ্য করে এমন মন্তব্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তবে শুধু কেন্দ্রকে নয়, এদিন বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মহম্মদ সেলিম। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিল নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই সিপিএম নেতা বলেন, “উনি এখন রোজ মিছিল করছেন। আসলে দেরিতে ঘুম ভেঙেছে। আগে ঘুম ভাঙলে কক ককর কক মুরগির আওয়াজ করতেন। কাক যমরাজের বাহন।”

এরপরই প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “তৃণমূলের লোকজন রেশন কার্ড, আধার কার্ডে নাম ঠিক করছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা রাখতে পারছে না। এখন উনি প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে এসেছেন। আমি তৃণমূল করলে ডুবে মরে যেতাম। তৃণমূলের মেমোরি কার্ড ফুল হয়ে গিয়েছে। তাই বুদ্ধির চিপের জন্য পিকে কিনেছে। এসপি, ডিএমরা এখন মনে করছেন, তারা সিভিল সার্ভিসের লোক নন। তারা দিদি সার্ভিসের লোক।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি নাগরিকত্ব নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে সিপিএমের এই নেতা বলেন, “দেশের সরকার ধর্মের নামে মানুষকে ভাগ করতে চাইছে। কিন্তু একটা নাগরিকত্ব আইন দিয়ে দেশের 130 কোটি মানুষের ঐক্যকে ভাঙা যাবে না। সেনা নিয়েও এখন রাজনীতি করা হচ্ছে। কালো টাকা উদ্ধার, কর্মসংস্থান সহ কেন্দ্র যা যা বলেছিল, সেই কাজ করেনি। তারা এখন উল্টো পথে হাঁটছে।” আর সভার একদম শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপিকে একসাথে কটাক্ষ করে লাল পতাকাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেন মহম্মদ সেলিম।

তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে কখনও সরি বলতে শুনেছেন! মোদিকে কোনোদিন সরি বলতে শুনবেন না। কারণ তারা দুজনেই মনে করেন, তারা যেটা বলছেন, সেটাই শেষ কথা। কেন্দ্রীয় সরকার যখন উল্টো পথে হাঁটছে, তখন সমস্ত মানুষকে রাস্তায় নেমে দাবি আদায় করতে হবে। কাটমানি খাওয়ার স্লোগান “মা মাটি মানুষ” হতে পারে। কিন্তু লড়াইয়ের অপর নাম হল ইনক্লাব জিন্দাবাদ।” সব মিলিয়ে এক দিকে নরেন্দ্র মোদি আর অপরদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে শোরগোল তুললেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!