এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আবহে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে এবার কপাল পুড়তে চলেছে সরকারি কর্মচারীদের, জানুন বিস্তারিত

করোনা আবহে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে এবার কপাল পুড়তে চলেছে সরকারি কর্মচারীদের, জানুন বিস্তারিত

এই মুহূর্তে দেশের করোনা পরিস্থিতি খুবই সঙ্গীন। ক্রমাগত বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমনের সংখ্যা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় দফার লকডাউন জারি করেছেন দেশে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা পরিস্থিতি আসার আগে দেশের অর্থনৈতিক গ্রাফ এমনিতেই নিম্নমুখী ছিল। তবে আশা করা হয়েছিল, 2020 তে দেশের অর্থনীতি কিছুটা চাঙ্গা হবে। কিন্তু করোনা সংকটকালে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লকডাউন করা হয় এবং তার ফলে অর্থনীতি আরো ঝিমিয়ে পড়েছে।

এই অবস্থায় দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে বেশকিছু আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এই মুহূর্তে প্রয়োজন প্রচুর অর্থের আর সেই কারণেই এবার সরকারি কর্মীদের এবং পেনশনভোগীদের বর্ধিত ডিএ  দেড় বছরের জন্য স্থগিত করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই মুহূর্তে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে গেলে রাজকোষের ওপর অবশ্যম্ভাবী চাপ পড়বে। এদিকে রাজকোষের হালও অত্যন্ত খারাপ। আর তাই এবার আশঙ্কা অনুযায়ী হাত পড়ল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘভাতার ওপর।

বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, 2020 সালের জানুয়ারি থেকে 2021 সালের একুশে জুন পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী দেড় বছর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের বর্ধিত হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে না বলে জানা গেছে। 2021 এর জুলাই থেকে যখন আবার মহার্ঘভাতা দেওয়া হবে, তখন অবশ্য সংশোধিত হারেই দেওয়া হবে ডিএ, কিন্তু বকেয়া কিছু দেওয়া হবেনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজকোষের ওপর কিছুটা চাপ কমবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলিও যদি একই ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকারও যদি তাঁদের কর্মীদের ও পেনশনভোগীদের ডিএ বন্ধ করে, তাহলে কেন্দ্র-রাজ্য মিলিয়ে এক লক্ষ কুড়ি হাজার কোটি টাকা প্রায় বাঁচবে। সেই টাকা কাজে লাগানো যাবে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের প্রায় 48 লক্ষ 34000 সরকারি কর্মী এবং প্রায় 65 লক্ষ 26 হাজার পেনশনভোগী আগামী দিনে বর্ধিত হারে মহার্ঘ ভাতা থেকে বঞ্চিত হবেন।

কথা ছিল 2020 সাল থেকে সরকারি কর্মচারীরা ও পেনশন ভোগীরা 21% হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। তার আগে অবশ্য এই মহার্ঘ ভাতা 17% হারে পাওয়া যেত। 4% বেড়ে এই মহার্ঘ ভাতা 21% হয়েছিল। আপাতত কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে আবারও 17% হারেই মহার্ঘ ভাতা পাবেন দেড় বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা এবং পেনশনভোগীরা। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সংগঠন গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ন্যাশনাল কনফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই।

তবে সংগঠনের নেতা প্রবীর কুমার সিংহ জানিয়েছেন, ”এই পরিস্থিতিতে কোনও কিছু বলার প্রশ্নই নেই। তবে ২০২১ সালের জুলাইয়ের ডিএ যখন ঘোষণা হবে, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা যদি দেওয়া সম্ভব হয়, তার জন্য সরকারকে অনুরোধ করা হবে।” সূত্রের খবর, বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা দিতে কেন্দ্রীয় রাজকোষ থেকে বাড়তি খরচ হতো 14 হাজার 595 কোটি টাকা। এই টাকা এবার করোনা সংকটকালে বিভিন্ন প্যাকেজের পেছনে খরচ করা হবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে মানুষের রুজি রোজগার বন্ধ হওয়ার জেরে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও মুখ থুবড়ে পড়ার মুখে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের বর্ধিত মহার্ঘভাতার রদের সিদ্ধান্তকে যথেষ্ট প্রশংসাসূচক বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!