এমনি সময়ে প্রায় প্রতিনিয়ত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে করোনা মহামারীর সময়ও নিজের সেই অভিযোগকে সপ্তমে চড়িয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। একদিকে লকডাউন, আর অন্যদিকে করোনা মোকাবিলার জন্য সঠিক পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করা।

বিগত বাম সরকার অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়ার ফলে, কেন্দ্র করোনা মোকাবিলা করতে প্রাপ্য অর্থ দিক – বলে দাবি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় প্রতিদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই সমস্ত অভিযোগ খণ্ডন করে রাজ্যকে আর্থিক সাহায্য করে বাংলার পাশে দাঁড়াল কেন্দ্র।

এক্ষেত্রে করোনাকে আটকানোর জন্য কোনো রাজনীতির তত্ত্ব খাড়া করে যে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিপাকে ফেলা যাবে না, তা প্রমাণ করে দিল ভারতবর্ষের বিজেপি সরকার বলে মত একাংশের। বস্তুত, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের বকেয়া টাকা মেটানোর পাশাপাশি, করোনাকে আটকাতে কেন্দ্রের কাছে 25 হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করার দাবি জানান।

এমতাবস্থায় এবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেশের 14 টি রাজ্যকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হল‌। সূত্রের খবর, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে রাজ্যগুলোকে রাজস্ব ঘাটতি বাবদ প্রায় 6 হাজার 195 কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাংলা পেয়েছে 417 কোটি 75 লক্ষ টাকা। অন্যদিকে বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে রাজ্যর প্রাপ্য থেকে দেওয়া হয়েছে প্রায় 11 হাজার 92 কোটি টাকা।

যেখানে পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে 504 কোটি 5 লক্ষ টাকা। অর্থাৎ দুটো ভাগ মিলিয়ে কেন্দ্রের তরফে বাংলা প্রায় 923 কোটি টাকা পেল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যকে বিপুল সাহায্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গেল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।