২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংসদীয় অর্থনৈতিক সমীক্ষায় করদাতাদের সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং জনগণকে নিয়মিত কর দেবার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। অর্থনৈতিক রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে যে দেশের শীর্ষ ১০ জন কর প্রদানকারীকে ভিআইপি চিকিৎসা দেওয়া উচিত। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিটি জেলার সকল শীর্ষ ১০ জন করদাতাকে সম্মানিত করা উচিত যাতে অন্যান্য ব্যক্তিদেরও ট্যাক্স দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা যায়।

অর্থনৈতিক রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে যে দেশের শীর্ষ করদাতাদের বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য দ্রুত সড়ক সুবিধা, সড়ক ও টোল বুথগুলিতে ফাস্ট লেন, ইমিগ্রেশন কাউন্টারে বিশেষ কূটনৈতিক লাইন ইত্যাদি পাওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, এই রিপোর্টে প্রস্তাব করা হয়েছে যে গত দশকের গুরুত্বপূর্ণ ভবন, স্মৃতিস্তম্ভ, রাস্তা, ট্রেন, পরিকল্পনা, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল এবং বিমানবন্দরের নাম করদাতার নামে করা উচিত, যাঁরা নিজের নিজের এলাকায় শীর্ষ করদাতা হবেন।

অর্থনৈতিক রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে করদাতাদের জন্য একটি বিশেষ ক্লাব স্থাপন করা উচিত, যার এক্সক্লুসিভ সদস্যপদ কেবল সামাজিক অবস্থানই বাড়াবে না বরং করদাতাদের বিশেষভাবে সম্মানিত করবে। এই ধরনের পদক্ষেপগুলি ‘সততা ও সম্মানের সঙ্গে কর প্রদান’ এর সামাজিক মানকে উৎসাহিত করতে সহায়তা করতে পারে।

কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের মতে, সরকার কর প্রদানের সংস্কৃতি আরও মজবুত করতে ও এই প্রক্রিয়ার প্রচারের জন্য সৎ করদাতাদের পুরস্কৃত ও সম্মানিত করা উচিত, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদী সরকার ভাবনা চিন্তা করছে। প্রসঙ্গত, এই পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য গত বছর সিবিডিটি-এর অধীনে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাই সবমিলিয়ে দেশের সৎ কর দাতাদের জন্য একগুচ্ছ সম্মানের রাস্তা খুলতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।