দীপাবলির আগেই কি বেতন-সাশ্রয় নিয়ে বড়সড় সুখবর পেতে চলেছেন দেশের সমস্ত সরকারি-বেসরকারি কর্মী? জাতীয় October 1, 2019 2019 সাল দেশের জন্য একটা উল্লেখযোগ্য বছর। কাশ্মীর থেকে শুরু করে চন্দ্রযান অভিযান সবকিছুই হয়েছে এবছর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তত্ত্বাবধানে। সব ভালো করলেও এক জায়গায় এসে দেশবাসীর ভুরু কুঁচকেছে। আর তা হল অর্থনৈতিক মন্দা। হঠাৎ আসা এই অর্থনৈতিক মন্দার হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নানান চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আপাতত পরিস্থিতি আয়ত্তে আছে বলে দাবি করলেও দেখা যাচ্ছে, নিত্যনৈমিত্তিক জিনিসপত্রের দাম আগুন। একের পর এক শিল্প থেকে কর্মী ছাঁটাই চলছে। তবু কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত ব্যাপার সামলে নতুন করে এবার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সুবিধার্থে কিছু উদ্যোগ নিতে চলেছে। কি সেই উদ্যোগ? জেনে নেওয়া যাক। অর্থনৈতিক মন্দার জেরে প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গেছে। ফলে বাজারে জিনিস থাকলেও তার চাহিদা কমে গেছে। এবার এই চাহিদাকে বাড়াতে নতুন করে উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা আয়কর নির্ধারণ এর মধ্যে দিয়েই হবে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে অর্থনীতির ওপর কালো মেঘ সরাতে বিনিয়োগ টানার জন্য কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে অবশ্য কিছুটা সুবিধা হয়েছে। এই মন্দার বাজারেও দেশের শিল্পগুলি প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কিন্তু মধ্যবিত্ত শ্রেণীর হাতে টাকা পয়সা না থাকায় বাজার বাড়িয়ে কোন লাভ হচ্ছে না। তাই এবার কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আয়কর আইন সহজ করা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এই নিয়েই আপাতত 19 এ আগস্ট একটা রিপোর্ট জমা পড়েছে সরকারের কাছে। যাতে বলা হয়েছে, আয়করের ভিত্তি বাড়িয়ে আয়কর দাতাদের করের থেকে ছাড় দেওয়া। ইতিমধ্যে আয়কর নিয়ে কাজ করা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রত্যেক করদাতা যাতে ফাইভ পার্সেন্ট সুবিধা পায় সেদিকে নজর রাখা হবে। অন্যদিকে, সরকারি পর্যায়ে আরেকটি প্রস্তাব নিয়েও কথা চলছে। যেখানে বলা হয়েছে, করের হার কমানো। যার ইনকাম 5 লক্ষ থেকে 10 লক্ষ টাকা, তাঁদের বর্তমান করহার রয়েছে 20%, নতুন নিয়মে সেটি হবে 10%। যাদের 30% কর দিতে হয়, তাঁদের করের হার কমিয়ে 25% করার কথা বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, মধ্যবিত্তের মন পেতে সরকার দিওয়ালির আগেই ঘোষণা করতে পারেন নতুন নিয়ম নিয়ে। আশা করা হচ্ছে এর ফলে উৎসবের মরশুমে বাজার চাহিদা বাড়বে। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই নিয়ম কার্যকর হলে আশা অনুযায়ী মানুষের চাহিদা বাড়বে। ফলে যোগানও বাড়বে। তাতে অর্থনৈতিক মন্দা অনেকাংশেই কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এই নিয়ম আসলক্ষেত্রে কার্যকর হলে আদপে কি হবে তা এখনই কেউ জোর দিয়ে বলতে পারছে না। সে দিকে নজর রাখবে, অর্থনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -