তবলিঘি জমায়েতেই ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা? জাতীয় April 6, 2020 লকডাউনের ফলে গোটা ভারতবর্ষের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিকে অনেকটাই আটকানো যাবে বলে মনে করা হয়েছিল। এমনকি পরিসংখ্যান দেখে তা আঁচও করাও গিয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যেই ঘটে এক বিপদজনক ঘটনা। যেখানে নানা বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও এবং সচেতনতা গ্রহণ করা সত্ত্বেও, দিল্লির নিজামুদ্দিনের তবলিঘি-ই-জামাতের জমায়েত তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। যেখানে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার মধ্যে সকলকে বাড়িতে থাকতে বলা হচ্ছে, সেখানে কেন এই জমায়েত অনুষ্ঠিত হল! তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায়। এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং বিভিন্ন রাজ্য থেকে এই জমায়াতে বিভিন্ন মানুষ আশায়, তারা যদি আবার তাদের বাড়িতে ফিরে যান, তাহলে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়বে বলেও দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর সেই মতই নিজামুদ্দিন যে ভারতবর্ষের করোনা ভয়াবহতাকে আরও বাড়িয়ে দিল, তা স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সূত্রের খবর, এদিন এক সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল। আর সেখানেই তিনি বলেন, “ভারতের প্রতি 4.1 দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। নিজামুদ্দিনের জমায়েত না হলে, তা হতে 7.4 দিন সময় লাগত।” আর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিবের এই তথ্য এখন রীতিমত চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে গোটা ভারতবাসীর কাছে। যদি একটু বেশিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে সময় নিত, তাহলে হয়ত বা তা মোকাবিলা করা সম্ভব হত। কিন্তু যেভাবে সরকারি নির্দেশ নামাকে উপেক্ষা করে নিজামুদ্দিন জমায়েত করে ভারতবর্ষকে ফেলল, তাতে এখন একটাই প্রশ্ন উঠছে, কবে ফিরবে সচেতনতা? জানা গেছে, ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সেই নিজামুদ্দিনে আসা ব্যক্তিরা পৌঁছে গিয়েছেন। ফলে তাদের সংক্রমণ যে অন্য মানুষের শরীরে প্রতিনিয়ত যাচ্ছে এবং তার ফলেই যে বাড়ছে ভারতবর্ষে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, তা এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিবের মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -