দল ও প্রশাসন যে আলাদা – কলকাতা সফরেই স্পষ্ট করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতা জাতীয় রাজ্য September 24, 2019 তিনি একদিকে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আবার অপরদিকে বিজেপি দলের প্রধান ব্যক্তি। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। হ্যাঁ ঠিকি ধরেছেন, ব্যক্তির নাম অমিত শাহ। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা নানা অভিযোগ তোলেন। কিন্তু তিনি যে সত্যিই ব্যতিক্রম, তা কলকাতা সফরেই প্রমাণ করে দিলেন সেই অমিত শাহ। প্রতিটা রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় আসার পর বলে, তারা দল এবং সরকারকে একভাবে গুলিয়ে ফেলে না। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তাদের সেই বানী পাল্টে যায়। দল এবং সরকারকে প্রায় প্রত্যেকেই এক লাইনে চলাতে বাধ্য করে। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে। জানা গেছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। আর তাই দলীয় পদমর্যাদা এবং সরকারি ক্ষমতার পৃথক সত্তাকে সম্মান দিয়ে রাজভবনের আতিথেয়তা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, এর আগে যতবারই তিনি কলকাতায় এসেছেন, ততবারই পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে উঠেছেন। কিন্তু বর্তমানে সেখানকার অতিথিশালার সংস্কারের কাজ চলায় সেখানে তিনি থাকতে পারবেন না। তার পরিবর্তে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কলকাতা সফরে রাজভবনে থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা সম্পূর্ণরূপে নাকচ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি যে, তিনি এবার বিজেপি সভাপতি হিসেবে কলকাতায় যাচ্ছেন। তাই রাজভবনের মত সরকারি জায়গায় তিনি দলের সভাপতি হিসেবে থাকতে চান না। আর দল এবং সরকারকে এক লাইনে গুলিয়ে না ফেলা অমিত শাহের এহেন সিদ্ধান্তকে রীতিমতো স্বাগত জানাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। জানা গেছে, রাজ্য বিজেপির তরফে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জন্য ধর্মতলায় একটি বেসরকারি অভিজাত হোটেল বুক করা হয়েছে। আগামী 1 অক্টোবর কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। আর সেদিন রাতে ওই হোটেলেই বিজেপির সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, পদাধিকারী এবং পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রাজনীতিতে এই ধরনের মানুষের উত্থান ঘটে, যারা সরকার এবং দলকে গুলিয়ে না ফেলেন, তাদের জন্যই রাজনীতি আরও সুন্দরের পথে এগিয়ে যাবে। তাই অমিত শাহ তার এই সিদ্ধান্তের ফলে মহানুভবতার পরিচয় দিলেও, অন্যান্য রাজনীতিবিদরা আদৌ তা পারবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -