বিবাদ ভুলে বাংলার 40 লক্ষ কৃষককে কেন্দ্রের সাহায্য পেতে দিন, মমতার কাছে আর্জি মোদির মন্ত্রীর কলকাতা জাতীয় রাজ্য June 23, 2019 গত 2014 সালে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের বিভিন্ন ইস্যুতে তরজা শুরু হয়। যার জেরে উন্নয়ন অনেকটাই বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করতে দেখা যায় বিরোধীদের। এমনকি কেন্দ্র টাকা দিলেও রাজ্য তার নিজের বলে চালাচ্ছে বলে বিভিন্ন সময়ে দাবি করে বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এই পরিস্থিতিতে বাংলা কারওর ভিক্ষা চায় না বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় ইনিংসে কেন্দ্রে ফের সেই বিজেপি সরকার আসলে এবার বিবাদ ভুলে বাংলার কৃষকদের কেন্দ্রের উন্নয়নের আলোতে যাতে আলোকিত করা যায়, তার জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লিখলেন মোদী মন্ত্রিসভার কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। জানা গেছে, গোটা দেশের প্রায় 5 কোটি ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষিজমির মালিক কেন্দ্রের নতুন পেনশন পাওয়ার যোগ্য। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান বিধি বা এই পিএম কিষান প্রকল্পে দেশের প্রায় সমস্ত কৃষিজমির মালিককেই তিন দফায় বছরে মোট 6 হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রাইম মিনিস্টার কিষান পেনশন যোজনাতেও এখন জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাই এই প্রকল্প দেশের সমস্ত কৃষক সমাজকে পাইয়ে দিতে রাজ্যগুলির সাথে কেন্দ্রের ভালো সম্পর্ক থাকা একান্ত জরুরি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদি রাজ্য এই ব্যাপারে বিরোধিতা শুরু করে, তাহলে সেই রাজ্যের কৃষকদের এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া কেন্দ্রের পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। জানা গেছে, 18 থেকে 40 বছর বয়সের ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষিজমির মালিকদের যখন 60 বছর বয়স হবে, তখন প্রতি মাসে তারা 3000 টাকা করে পাবেন। যার জন্য 18 বছর বয়সীদের 55 টাকা, 40 বছর বয়সীদের 150 টাকা এবং 29 বছর বয়সীদের 100 টাকা করে দিতে হবে। হিসেব মতো পশ্চিমবঙ্গের প্রায় 40 লক্ষ 26 হাজার 738 জন কৃষক কেন্দ্রের এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন। কিন্তু যদি রাজ্যের সরকার কেন্দ্রের এই প্রকল্প নিতে অস্বীকার করে তাহলেই তৈরি হবে সমস্যা। সেই ক্ষেত্রে বাংলার কৃষকরা বঞ্চিতই থেকে যাবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। আর তাইতো এই ব্যাপারে সমস্ত রাজনৈতিক বিবাদ সড়িয়ে যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কেন্দ্রের এই প্রকল্পে যুক্ত হন, তার আবেদন জানিয়ে রাজ্যকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। কিন্তু আদৌ কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কেন্দ্রের এই প্রকল্পে নিজেদেরকে যুক্ত করবে! এখন তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়। বিজেপির দাবি, যদি নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের উন্নয়নে কেন্দ্রের এই প্রকল্পে নিজেদেরকে যুক্ত না করেন, তাহলে রাজ্যের উন্নয়ন শিকেয় উঠবে। তাই অবিলম্বে কেন্দ্রের এই প্রকল্পে রাজ্যের যুক্ত হওয়া উচিত। কিন্তু এতে কি করবে তৃণমূল সরকার! তাদের পদক্ষেপ কি কি হবে! এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -