এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা >  কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে ভোট লুটবে তৃণমূল, মদতে কিছু পুলিশ! বিজেপির বিস্ফোরক রিপোর্ট!

 কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে ভোট লুটবে তৃণমূল, মদতে কিছু পুলিশ! বিজেপির বিস্ফোরক রিপোর্ট!


 

“রাজ্যে গণতন্ত্র নেই” বলে মাঝেমধ্যেই দাবি করতে দেখা যায় বিজেপি নেতাদের। পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা, প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই রাজ্য পুলিশের প্রতি ভরসা না-রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে যাতে নির্বাচন করানো যায়, তার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে তারা। কিছুদিন আগেই সমাপ্ত হওয়া লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া নিয়ে বিজেপির দাবিতে কিছুটা হলেও মান্যতা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটাই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছিল এই রাজ্যে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। তবে লোকসভার কিছুদিন যেতে না যেতেই এবার রাজ্যের 3 কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনের দামামা বেজে যাওয়ায় সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হতে শুরু করল গেরুয়া শিবির।

সূত্রের খবর, করিমপুর উপনির্বাচনের সমস্ত বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিজেপি। এদিন এই প্রসঙ্গে নদীয়া জেলার উত্তরে বিজেপি সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, “আমরা সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জোরালো দাবি জানাচ্ছি। আমাদের রাজ্যস্তরেও সেই দাবি জানানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি পুলিশের বেশ কয়েকজনকে আমরা চিহ্নিত করেছি। আমাদের মনে হয়েছে, তারা থাকলে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সুষ্ঠুভাবে ভোট করার জন্য তাদের নামও আমরা কমিশনে জমা দেব। আমরা চাই মানুষ যাতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দেয়।” অর্থাৎ বিজেপির এই দাবি থেকেই স্পষ্ট যে, বিধানসভা উপনির্বাচনেও তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে অনড়।

তবে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, যে সমস্ত পুলিশের ওপর তাদের সন্দেহ রয়েছে, সেই সমস্ত পুলিশকেও যাতে ভোটের কাজে ব্যবহার করা না হয়, তার জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি তোলা হলে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে অনড় থাকলেও এই ব্যাপারে প্রশাসন এবং তৃণমূল ঠিক কি বলছে!

এদিন এই প্রসঙ্গে নদীয়া জেলার জেলাশাসক তথা নির্বাচনী আধিকারিক বিভু গোয়েল বলেন, “এই ব্যাপারে এখনও কিছু হয়নি। সব দিক খতিয়ে দেখা হবে। এখনও এক সপ্তাহ লাগবে। তারপরেই এই ব্যাপারে বলা যাবে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে বিজেপিকে কিছুটা কটাক্ষ করে করিমপুরের ভূতপূর্ব বিধায়ক তথা বর্তমান কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, “খুব ভালো ব্যাপার। কেন্দ্রীয় সরকার ওদের, নির্বাচন কমিশন ওদের, সবকিছুই ওদের। ওরা যত পারে বাহিনী নিয়ে আসুক। আমি এটা দেখার অপেক্ষায় রয়েছি।”

তবে প্রতিটি লোকসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও বিজেপি এইখানে সেইভাবে সাফল্য দেখতে পায়নি। তাই এবারে যদি বিজেপির দাবি মেনে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে, তাহলে বিজেপি করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র দখল করতে পারে কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!