এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মোদী মন্ত্রীসভায় অবশেষে ‘কলঙ্কের দাগ’ – পুজোর বাজারেই চাকরি গেল হেভিওয়েট মন্ত্রীর

মোদী মন্ত্রীসভায় অবশেষে ‘কলঙ্কের দাগ’ – পুজোর বাজারেই চাকরি গেল হেভিওয়েট মন্ত্রীর


নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে যখন বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী, তখন তিনি দেশবাসীকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন যে কংগ্রেসের জমানা মানেই শুধু কেলেঙ্কারিতে ভরা। আর তাই দেশের এখন চাই বিজেপিকে এবং ক্ষমতায় এলে তিনি তাঁর সরকারের গায়ে কোনো কলঙ্কের দায় লাগতে দেবেন না। প্রায় সাড়ে চার বছর পার করে দেওয়ার পর প্রথম মোদী সরকারের দিকে ওঠে ‘রাফাল কেলেঙ্কারির’ অভিযোগ – যদিও কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ সেইভাবে জমাট বাঁধে নি। কিন্তু এবার সরকারিভাবে তাঁর মন্ত্রীসভার বিরুদ্ধে সেই কলঙ্কের দাগ লেগেই গেল – আর যার জেরে চাকরি খোয়াতে হল হেভিওয়েট মন্ত্রীকে।

বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ত্বে থাকা এম জে আকবর আদতে একজন নামী সাংবাদিক। একাধিক নামী পত্রিকার সঙ্গে কাজ করার পর – পরবর্তীকালে তিনি বেশ কিছু নামী-দামি পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ত্বও সামলান। আর তাই স্বাভাবিকভাবে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রীসভার গুরুত্ত্বপূর্ন দায়িত্ত্বও পান তিনি। কিন্তু গোটা বিশ্বজুড়ে ঝড় তুলে দেওয়া ‘মিটু’ বিতর্কে ফেঁসে গেলেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রিকার মহিলা সাংবাদিকরা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। যে সময় এই বিতর্ক শুরু হয় সেই সময় আকবর নিজে ছিলেন নাইজেরিয়ায়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

দেশে ফিরতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান এই নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া পরে জানাবেন। তখন থেকেই জল্পনা চলছিল যে মন্ত্রীত্ত্ব থেকে তাঁকে ইস্তফা দিতে হতে পারে। এমনকি, একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছিল যে তাঁর এই ইস্তফার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন, এমনকি ৯৭ জন আইনজীবীর এক বিশাল টীম নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার রাস্তায় হাঁটেন।

কিন্তু, শেষপর্যন্ত তিনি পদত্যাগের রাস্তাতেই হাঁটলেন। তবে এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপি শীর্ষনেতৃত্ত্ব তাঁর উপর কোন চাপ দিয়েছেন কিনা তা জানা যায় নি। কেননা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠলেও মন্ত্রীসভার তাঁর সহকর্মীরা তাঁর প্রতি সহানুভূতিশীলই ছিলেন। তাঁর সমর্থনে প্রকাশ্যে বিবৃতিও দেন তাঁরা। কিন্তু, অবশেষে নিচের ইস্তফা দিয়ে এম জে আকবর জানান, নিজের জোরেই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি মনে করেছেন, পদত্যাগ করেই মিথ্যা অভিযোগের মোকাবিলা করা উচিত। একইসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!