এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভয়াবহ পরিস্থিতি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিক্ষোভে শান্ত করতে পদক্ষেপ কেন্দ্রের

ভয়াবহ পরিস্থিতি, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিক্ষোভে শান্ত করতে পদক্ষেপ কেন্দ্রের


 

সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষে পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। যার পরেই তাতে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর হলেই সেই বিল বর্তমানে আইনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সেই আইন লাগু হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভয়াবহ বিক্ষোভ হতে শুরু করেছে। অসম, ত্রিপুরা দিয়ে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে বাংলাতে আছড়ে পড়েছে।

বিভিন্ন জায়গায় বাস ভাঙচুর, কোথাও ট্রেন ভাঙচুর, কোথাও স্টেশন পুড়িয়ে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটছে। যা নিঃসন্দেহে আইন-শৃংখলার দিকে একটা বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে দেশকে শান্ত করতে পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই বারবার পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই বিলের বিরোধিতা করলেও, জলন্ত বিক্ষোভ যাতে না হয়, তার জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেই বিক্ষোভ কমছে না। তবে এবার দিল্লি সহ গোটা দেশ যখন অশান্তির আগুনে জ্বলছে, ঠিক তখনই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠক ডাকল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেন রেড্ডি এবং স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লার। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুপস্থিতিতেই সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। জানা যায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজ রয়েছে। ফলে তারপর নতুন করে এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সংগঠিত হতে পারে। তাই তার আগেই এই বিক্ষোভকে কিভাবে সামাল দেওয়া যায়, তার জন্য বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হল বলে মত একাংশের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে অসম, ত্রিপুরায় যে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা যে পশ্চিমবঙ্গের শুরু হবে, তা প্রথমদিকে অতটা আঁচ করতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ততই সেই বিক্ষোভ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় এই আইনের ফলে যে তারা কিছুটা ব্যাকফুটে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ভারতীয় জনতা পার্টি।

আর তাই এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তি বজায় রাখতে এই বৈঠক করল কেন্দ্র। যদিও বা এদিনের এই বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঘনিষ্ঠমহলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, “কিছু লোক বিষয়টিকে ধর্মের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে আইন-শৃংখলা জনিত সমস্যা তৈরি করছে।” পাশাপাশি প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের কাছে বিক্ষোভের আগুন নেভানোর আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এই জাতীয় নাগরিকপঞ্জি সংশোধনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। তবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যগুলোতে যেভাবে জ্বলন্ত বিক্ষোভ হচ্ছে তার পেছনে বিরোধীরা নেই। কিন্তু পরোক্ষে বিরোধীরাই সেই বিক্ষোভকারীদের মদত দিচ্ছে বলে মনে করছে কেন্দ্রের শাসক দল। আর তাই এই পরিস্থিতিতে সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেন দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু কেন্দ্রের এই আহ্বান বিক্ষোভকারীদের কান পর্যন্ত পৌঁছয় কিনা এবং আদৌ পরিস্থিতি শান্ত হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!