এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন্দ্রের রিপোর্টে কি ঘুম উড়তে পারে রাজ্যের? মুখ্যসচিবের গলায় এখন থেকেই আতঙ্কের সুর!

কেন্দ্রের রিপোর্টে কি ঘুম উড়তে পারে রাজ্যের? মুখ্যসচিবের গলায় এখন থেকেই আতঙ্কের সুর!


ভারতের মধ্যেই পড়ে পশ্চিমবঙ্গ নামক রাজ্য। এমনি সময় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নেওয়া হলেও, পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনেক ক্ষেত্রেই তা নাকচ করে দেয়। যার ফলে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে নানা সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু করোনা মহামারীর সময়েও রাজ্যের যে কেন্দ্রের কিছু কাজে আপত্তি থাকবে এবং তাকে নিয়ে যে রাজনীতি হবে, তা সত্যিই কল্পনা করতে পারেননি অনেকেই।

বস্তুত, রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গাকে চিহ্নিত করে করোনার দিক থেকে তাকে উদ্বেগজনক বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তারপরই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে তারা। এমনকি ইতিমধ্যেই রাজ্যে সেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল চলে এসেছে। তবে প্রথম থেকেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পাঠানো এই প্রতিনিধি দলের চরম বিরোধিতা করতে দেখা গেছে রাজ্য সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে এই ব্যাপারে কড়া চিঠি দিয়ে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন। একইভাবে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাও কেন্দ্রের আসা প্রতিনিধিদলের চরম বিরোধিতা করেছেন। যার ফলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল পাঠানো হলেও, রাজ্য কেন তার বিরোধিতা করছে, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

তবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সহযোগিতা করা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের কাছে কেন্দ্রের তরফে কড়া চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে দিল্লিতে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদল রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। আর তারপরই মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের একটি চিঠি রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে আসে। যেখানে বলা হয়, রাজ্য কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য। আর এরপরই মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠির জবাবে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা কেন্দ্রকে জানান যে, কেন্দ্রের পাঠানো পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে সমস্ত রকম সহযোগিতা করছে রাজ্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর রাজ্যের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে এই কথা জানানোর পরই এদিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব পুন্যসলিলা শ্রীবাস্তব বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন যে, রাজ্য প্রশাসন বিপর্যয় মোকাবিলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে চলবে। আশা করব, ওই দলে যে প্রতিনিধিরা আছেন, রাজ্য তাদের অভিজ্ঞতার ফায়দা নিতে সক্ষম হবে।” আর এই সমস্ত কিছু দেখে এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমদিকে রাজ্যের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের আসা নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা।

কিন্তু পরবর্তীতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কড়া চিঠি পাঠানোর পরেই তিনি সমঝে গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানান। অর্থাৎ মুখ্যসচিব ভালোই আচ করতে পেরেছেন যে, এই পরিস্থিতিতে যদি কেন্দ্রের নির্দেশকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদলের বিরোধিতা করা হয়, তাহলে রাজ্য বিপাকে পড়তে পারে। আর তাই সেই আতঙ্ক নিয়ে হাজার অসুবিধা থাকলেও, কেন্দ্রের প্রতিনিধিদলকে রাজ্য সহযোগিতা করবে বলে জানিয়ে দেন মুখ্যসচিব।

অনেকে বলছেন, কেন্দ্রের নির্দেশ যদি রাজ্য না মানত এবং মুখ্যসচিব যদি এভাবে বিরোধিতা করতে শুরু করতেন, তাহলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার পর্যন্ত করা যেত। তাই সেক্ষেত্রে নিজেকে বিপদ থেকে বাঁচাতেই সহযোগিতা করা হবে বলে কেন্দ্রকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিলেন রাজীববাবু বলে মনে করছে একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেন, “যাদের সঙ্গে ইচ্ছা ওরা কথা বলতে পারেন। নেগেটিভ বা পজেটিভ যে স্টোরিই তারা সংগ্রহ করবেন, সেটা তাদের ব্যাপার। তবে আমরা বিশ্বাস করি না যে, একজন সরকারি অফিসার নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন না। রাজ্য বা কেন্দ্র যারই দল হোক না কেন, আশা করি নিরপেক্ষতা থাকবে। কেন্দ্রীয় দলও আশা করব, সঠিক অবস্থান নেবে রিপোর্ট তৈরির সময়।”

সব মিলিয়ে প্রথমদিকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে নিয়ে মুখ্যসচিব কড়া অবস্থান নিলেও, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কড়া চিঠি পাঠানোর পর এই ব্যাপারে সহযোগিতার কথা বলে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেন রাজীব সিনহা বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!