সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবা নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক – জানুন বিস্তারিত জাতীয় August 23, 2018 এবার সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবা নিয়ে নয়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। অসংগঠিত ক্ষেত্রের সমস্ত শ্রমিক – কর্মচারীদেরকে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প,কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড ( ইপিএফ) এবং সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচি ইএসআইয়ের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করল কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক। এর জেরে যেকোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের চুক্তিভিত্তিক গাড়িচালকেরা এই সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবার আধীনে আসতে পারবেন। বর্তমানে যেসব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে ১০ জন কর্মী রয়েছে,সেই সংস্থাগুলির কর্মচারীই রাজ্যবীমা (ইএসআই)-র সুরক্ষা পেয়ে থাকেন। আর যে সংস্থাগুলোর কর্মীসংখ্যা ন্যূনতম ২০ জন, তাদের সুরক্ষা প্রদান করে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ)। ন্যূনতম কর্মীসংখ্যার এই নিয়মটিই মেনে চলা হবে চুক্তিভিত্তিক গাড়িচালকদের ক্ষেত্রে। এমনটাই জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক সূত্র থেকে। অর্থাৎ কমপক্ষে ১০ জন কর্মী থাকা সংস্থার অধীনে যারা গাড়ি চালান তারা ইপিএফের অধীন আসবে না কিন্তু সরকারি স্বাস্থ্যবিমা পরিষেবার আওতায় থাকবে। অন্যদিকে,ন্যূনতম ২০ জন কর্মী থাকা সংস্থার অধীনে যারা গাড়ি চালান, তারা ইপিএফ এবং ইএসআই এই দুয়েরই সুরক্ষার গন্ডীতে আসবে। তবে এক্ষেত্রে সরকারি নির্ধারিত মান অনুযায়ীই তাঁদের মাসের সর্বোচ্চ বেতন হবে। উদাহরণস্বরূপ, ইপিএফের ক্ষেত্রে মাসিক সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা এবং ইএসআই-এর ক্ষেত্রে মাসিক সর্বোচ্চ ২১ হাজার টাকা। সরকারি সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে,এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে শীঘ্রই সর্বভারতীয় স্তরের সমস্ত শ্রমিক সংগঠন এবং মালিক পক্ষকে নিয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসারও প্ল্যান করেছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার। বন্দারু দত্তাত্রেয়র থেকে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের দায়িত্ব নিজের কাঁধে আসার পর থেকেই অসংগঠিত ক্ষেত্রের সমস্ত শ্রমিক এবং কর্মচারীদের সামাজিক সুরক্ষার গন্ডীতে আনতে উৎসাহী সন্তোষ কুমাী গঙ্গওয়ার। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এর সঙ্গেই আগামী ২০২২ সালের মধ্যে সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচি ইএসআইয়ের অধীনে ১০ কোটি গ্রাহককে আনার পরিকল্পনাও করেছেন তিনি। আর এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার জন্যেই ২০০৮ সালের ‘আনঅর্গানাইজড ওয়ার্কার্স সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ কার্যকর করতে উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। গাড়িচালকদের পাশাপাশি অসংগঠিত ক্ষেত্রের অন্যান্য শ্রমিক ও কর্মচারীদেরও সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে উদ্যোগী কেন্দ্র,এমনটাই জানা যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -