এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সাধারণ মানুষ তো বটেই খোদ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল!

সাধারণ মানুষ তো বটেই খোদ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল!

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত দ্বন্দ্ব লেগেছিল রাজ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের আসা নিয়ে। এই নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছিল চূড়ান্ত বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রী নিজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এই ঘটনার জবাবদিহি চেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজ্যের শাসক দল অভিযোগ জানিয়েছিল যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল প্রোটোকল না মেনেই রাজ্যে পা দিয়েছে। অবশ্য রাজ্যের কোন আপত্তিই যে ধোপে টেকেনি তা এতদিনে সবাই দেখে নিয়েছে।

এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল দুই ভাগে ভাগ হয়ে রাজ্যজুড়ে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা শিলিগুড়ির ফুলবাড়ির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জ্যোতিনগরে যান এবং সেখানে গিয়ে তাঁরা রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার নিরাপত্তারক্ষীদের দেখে। সোমবার সকালে উত্তরবঙ্গের জেলা পরিদর্শনে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল প্রথমে ফুলবাড়ি এলাকায় গিয়ে ভিন রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি যাচাই করেন।

তারপর তাঁরা শিলিগুড়ি পুরনিগমের 41 নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ জ্যোতি নগর এলাকায় যান। সূত্রের খবর, ওই এলাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কারণ ওই এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা কোনরকম মাস্ক বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করছিলেন না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এবং এই ঘটনাই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের ক্ষুব্ধ করেছে বলে জানা গেছে। তাঁরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে নির্দেশ দেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এই জ্যোতিনগর এলাকাতেই সম্প্রতি করোনায় সংক্রমণে মৃত কালিম্পং এর মহিলার পরিবারের সদস্যরা থাকতেন। এরপর শিলিগুড়ির একটি করোনা হাসপাতাল পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল সোজা চলে যান জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে। রবিবার কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা শিলিগুড়ি বিধান মার্কেট এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মেলা প্রাঙ্গণে যে বাজার বসেছে, সেটিকে পর্যবেক্ষণ করেন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল রাজ্যে আসার পরেই রাজ্যের লকডাউন পরিস্থিতি রীতিমতো পাল্টে গেছে।

বর্তমানে লকডাউন পরিস্থিতি মেনে চলার জন্য রাজ্য সরকার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি সচেতনতা প্রচারে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে পথে নামতে দেখা গেছে। এর সাথে রাজ্য প্রশাসকরাও নজর রেখেছে সাধারণ মানুষের ওপর। যদিও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা অভিযোগ জানাচ্ছেন, তাঁরা রাজ্যের কাছ থেকে কোনো রকম সহযোগিতা পাচ্ছেন না এলাকা পর্যবেক্ষণে। আপাতত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের কাজের শেষে রাজ্যের জন্য রিপোর্ট কি আসে, সে দিকেই এখন নজর রেখেছে রাজ্য সরকার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!