এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > একাধিক অব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের জোড়া পত্রাঘাতে ঘুম উড়তে চলেছে রাজ্য সরকারের?

একাধিক অব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের জোড়া পত্রাঘাতে ঘুম উড়তে চলেছে রাজ্য সরকারের?


এমনিতেই করোনা ইস্যুতে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্কের অবনতি চরমে উঠেছে। বিরোধীদের নানা ইস্যুতে অভিযোগ, রাজ্যপালের পত্রবোমা এবং কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রাজ্যে আসা, এই তিনটি বিষয় নিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একটি রাজ্য সরকার হয়ে কেন কেন্দ্রের তরফ থেকে পাঠানো প্রতিনিধিদলের বিরোধিতা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয় প্রশ্ন।

কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিরা নিজেদের মত করে কাজ করতে শুরু করেন। তাদের আশঙ্কা ছিল, পশ্চিমবঙ্গে করোনা মোকাবিলা ঠিকমত হচ্ছে না। যদিও বা প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল তাদের মতো করে কাজ করবে। কিন্তু তারা যেন নিরপেক্ষ রিপোর্ট প্রকাশ করেন বলে জানিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। তবে এবার সেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের জোড়া চিঠিতে তীব্র অসন্তোষ চরম সমস্যায় ফেলে দিল রাজ্য সরকারকে।

সূত্রের খবর, শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার কাছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দলের তরফে দুটি চিঠি দেওয়া হয়। যেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করোনা মোকাবিলায় গঠিত অডিট কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র। শুধু তাই নয়, রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের অব্যাবস্থা নিয়ে এই চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তরফে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, বাঙ্গুর হাসপাতালের উদাহরণ তুলে ধরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল মুখ্যসচিবকে লেখা চিঠিতে লেখেন, কয়েকজন বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে রয়েছেন। কিন্তু তাদের টেস্ট রিপোর্ট এখনও আসেনি। কয়েকজনের টেস্ট নেগেটিভ হওয়া সত্বেও তারা হাসপাতালে রয়েছেন। হাসপাতালে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। আর প্রথম চিঠিতে রাজ্যের দুটি হাসপাতাল নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল প্রশ্ন তুললেও, দ্বিতীয় চিঠিতে যে অডিট কমিটি করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

যেখানে বলা হয়, কিসের ভিত্তিতে এই কমিটি গঠন করা হল! আর প্রথমে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধীতার পর এবার সেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে দুটি প্রশ্ন করায় এখন রাজ্য তার কি জবাব দেয়, তার দিকে নজর থাকবে সকলেরই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম থেকেই রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পরবর্তীকালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের বিরোধিতা করেছিলেন।

কিন্তু তার পরবর্তী সময়কালে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কড়া চিঠি পাঠানোয় রাজ্যের পক্ষ থেকে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যদি কোনো বক্তব্য জানতে চায়, তাহলে তাদের ইমেইল করে তা জানিয়ে দেবে রাজ্য বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। কিন্তু এবার যে দুটো প্রশ্ন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে করা হল, তাতে রাজ্য সরকার অস্বস্তিতে পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, এই প্রশ্নগুলোই এতদিন বিরোধীদের তরফ থেকে করা হচ্ছিল। তবে এর কোনো সদুত্তর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি। ফলে এবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই প্রশ্ন করায় রাজ্য তাদের উত্তর সদুত্তরে পরিণত করতে পারে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। বিরোধীরা দাবি করছেন – বাংলায় করোনা নিয়ে যে সরকারি তথ্য তা নাকি আদতে হিমশৈলের চূড়া মাত্র! এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের এই জোড়া পত্রবোমা রাজ্য সরকার কিভাবে সামলে – সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!