বড়োসড় বিপাকে পড়তে চলেছে সিইএসসি, রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীর বাড়িতে বিল আসতেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন অন্যান্য কলকাতা রাজ্য July 19, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা সিইএসসির পক্ষ থেকে মাত্রাতিরিক্ত বিল আসে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির। যে বিদ্যুতের বিল দেখে রীতিমত চোখ কপালে উঠে যায় রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর। এত টাকার বিল কিভাবে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পাশাপাশি একাধিক বিশিষ্ট মানুষের বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল আশায় রীতিমত ক্ষোভ তৈরি হয়। ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে রাজ্যের সঙ্গে সিইএসসির সঙ্গে চরম সংঘাত তৈরি হয়েছে। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, কোনভাবেই বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থাকে গ্রাহকদের সমস্যা হবে, এমন কাজ করতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সদর দপ্তর নবান্নের পক্ষ থেকেও অ্যাডভাইজারি পাঠানো হচ্ছে সিইএসসিকে। আর এই অবস্থায় সিইএসসির চাপ আরও বাড়িয়ে দিতে এবার নয়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। জানা গেছে, এবার রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে সিইএসসিকে এই অস্বাভাবিক বিলের জন্য নোটিশ ধরানো হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় এই বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা যে এবার চরম চাপে পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে বলেন, “লকডাউনের ফলে ঠিকমত মিটার রিডিং নেওয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও অতিরিক্ত বিলের বোঝা সাধারন মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিমাসে যা বিল আসে, তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি বিল আসছে। এই লকডাউনে মানুষের আয় কমেছে। তার ওপর আবার মাত্রাতিরিক্ত বিলের বোঝায় নাজেহাল গ্রাহকরা।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও বা এই ব্যাপারে সিইএসসির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের কারণে মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হয়েছিল। যার ফলে কয়েক মাস মিটার রিডিং নেওয়া বন্ধ ছিল। তাই এপ্রিল ও মে মাসে অনুমানের ভিত্তিতে বাৎসরিক গড়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারের নিরিখে বিল পাঠানো হয়েছে। তবে তা বিদ্যুৎ ব্যবহারের তুলনায় অনেক কম। কিন্তু যেভাবে এত অস্বাভাবিক বিল নানা মানুষজনের বাড়িতে এসেছে এবং তা থেকে বাদ পাননি রাজের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, তাতে নিঃসন্দেহে সেই বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার ভূমিকায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আর এবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর নোটিশ ধরানোয় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হল। এখন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেই নোটিশ পেয়ে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা কি উত্তর দেয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -