CESC-এর পাহাড়প্রমাণ বিদ্যুৎ বিলে ঘুম উড়েছে সবার! অবস্থা সামলাতে আসরে শোভনদেব থেকে ফিরহাদ! অন্যান্য কলকাতা রাজ্য July 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিদ্যুতের বিল দেখলে অনেকেরই চোখ এখন কপালে উঠে যাবে। অভিযোগ, সিইএসসির পক্ষ থেকে মাত্রাছাড়া বিদ্যুতের বিল পাঠানো হচ্ছে। যার কারণে বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা সিইএসসির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন সকলে। স্বাভাবিকভাবেই এত পরিমাণে বিদ্যুতের বিল আসায় এবং তা মানুষের আয়ত্বের বাইরে চলে যাওয়ায় এখন রীতিমত পরিস্থিতি সামলাতে ময়দানে নামতে হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পরিষদকে। সমস্যার সমাধান করতে এদিন সিইএসসির দুই কর্তার সঙ্গে আলোচনায় বসতে দেখা যায় রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানে মন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন যে, কেন এভাবে অস্বাভাবিক বিল আসছে? একদিকে যখন লকডাউন, ঠিক তখনই এভাবে যদি মানুষের বিদ্যুতের বিল বাড়তে শুরু করে এবং তাতে অসুবিধায় পড়েন সাধারণ মানুষ, তাহলে ব্যাপক পরিমাণে সমস্যা বাড়বে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির বিদ্যুৎ বিল এসেছে প্রায় 12 হাজার টাকা। স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে আরও গুঞ্জন ছড়িয়েছে। আর তাই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সিইএসসির সাথে এদিন বৈঠক করতে দেখা গেল রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে। তবে সিইএসসির পক্ষ থেকে এদিনের বৈঠকে বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধি নিয়ে যে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাতে অবশ্য সন্তুষ্ট নন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেন এতটা বিদ্যুতের বিল আসছে? এদিকে এই প্রসঙ্গে সিইএসসির সহ-সভাপতি ডিস্ট্রিবিউশন সার্ভিসের অভিজিৎ ঘোষ বলেন, “বিদ্যুতের বিল বেশি আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। যতটুকু গ্রাহকরা ব্যবহার করছেন ততটাই বিল এসেছে। আসলে গত দু’মাসে এভারেজ বিল পাঠানো হয়েছিল। আর শেষ ছয় মাসের মধ্যে যেহেতু শীতকাল ছিল, সেক্ষেত্রে আন্ডার বিল পাঠানো হয়েছিল। এখানে গড়মিলের কোনো বিষয় নেই।” যতটা রেটিং উঠবে, ততটাই বিল নেওয়া হবে।” কিন্তু সিইএসসির পক্ষ থেকে একথা বললেও, তা মানতে নারাজ রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। যেভাবে বিদ্যুতের বিল এসেছে, তাতে এইরকম বিল কোনোভাবেই আসতে পারে না বলে মনে করছে রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। একইভাবে এই বিষয়ে এদিন মুখ খুলেছেন কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “তুলনামূলকভাবে এবারের বিল বেশি এসেছিল। তা নিয়ে আমি সিইএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম।” তবে গোটা ঘটনা যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে রাজ্যের মানুষের ওপর চাপ অনেকটাই বাড়ছে এবং বিদ্যুতের বিলের এই ব্যাপকতার কিভাবে সমাধান হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -