প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  চা পান, চায়ের আড্ডায় তুফান তোলা, চায়ের ঠেকে গল্প- গুজব বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় বিষয়। বাঙালির এই অভ্যাসকে কাজে লাগিয়ে দলের জনসংযোগের পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির বিভিন্ন নেতারা বারবার চা চক্রের আয়োজন করছেন। এই চা-চক্র থেকে একদিকে যেমন দলের হয়ে প্রচার করছেন, অন্যদিকে তেমনি এক হাত নিচ্ছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। ক্রমশ ভিড় বাড়ছে এই চা-চক্রে। আজ সকালে উত্তর দমদমে চা-চক্রে যোগদান করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে অভিযোগের কাঠগোয় তুললেন তিনি।

সম্প্রতি, প্রায় প্রতিদিনই চা-চক্রে যোগদান করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। চায়ের আসর থেকে একের পর এক বিস্ফোরক বক্তব্য রেখে ঝড় তুলে দিচ্ছেন তিনি রাজ্য রাজনীতিতে। আজ সোমবার সকালে উত্তর দমদমে চা-চক্রে থেকে বেশ কিছু বক্তব্য রাখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গে কোন গণতন্ত্র নেই। পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে দেয় না, নির্বাচন করতে দেয়না রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের পাঠানো টাকা লুটপাট করে নিচ্ছে শাসকদল তৃণমূল।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন যে, বিজেপি সভা করতে চাইলেও, তাঁদেরকে পারমিশন দেওয়া হয়না। পতাকা টাঙ্গালে পতাকা ছিড়ে দেয়া হয়। তিনি জানালেন যে, বিজেপি নীতি আদর্শের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে রাজনীতি করে। তৃণমূল সম্পর্কে তিনি জানালেন যে, যে পার্টিতে কোনো গণতন্ত্র নেই, এখন আর কেউ থাকতে পারছেন না সেখানে। তিনি অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল দলে কোনো সম্মান নেই, তাই অনেকে তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে।

তিনি অভিযোগ করেছেন, পুলিশ দিয়ে মেরে বিজেপিকে আটকে রাখা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। তৃণমূল দলটাই একদিন সাফ হয়ে যাবে। তিনি জানালেন, প্রধানমন্ত্রী চান প্রত্যেক বাড়িতে শৌচালয় তৈরি করা হোক, প্রত্যেকের পাকা বাড়ি হোক। তবে, এ রাজ্যে তা হচ্ছে না। কেন্দ্রের পাঠানো চাল, গম চলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চাল, গমের লুটপাট চলছে। কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রী বলেন যে, তিনি কিছুই জানেন না।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানলেন, মুখ্যমন্ত্রী (দিদিমণি) ১ লক্ষ কোটি টাকা চেয়েছেন। কিন্তু এর কোনো হিসেব নেই। প্রধানমন্ত্রী তাকে চেনেন, তাই নিজেই দেখতে এসেছিলেন। তিনি অভিযোগ করলেন, আম্ফানের টাকা লুটপাট করেছে তৃণমূল। আর চার-পাঁচ মাস সময় আছে সব লুটে নেবে তৃণমূল।
তিনি জানালেন, প্রধানমন্ত্রী জন্য গ্যাসের টাকা দিয়েছেন, বিকলাঙ্গদের টাকা দিয়েছেন, ১৪ হাজার টাকা পেয়েছেন কৃষকেরা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের কৃষকের ১ টাকাও পান নি। তৃণমূলের নেতারা কাটমানি পাবে না বলে, কৃষকদের নাম পাঠাননি মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি অভিযোগ করেছেন, চিকিৎসার ক্ষেত্রেও মানুষকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে তিনি জানালেন যে, সমাজে যারা সফল ব্যক্তি তাদের রাজনীতিতে যোগদান করা উচিত। বিজেপি সকলকে নিয়েই লড়াইয়ের জন্য তৈরি হয়েছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মুখ হবেন? তাঁকে এই প্রশ্ন করা হলে, এর উত্তরে তিনি জানান যে, আগে তাঁকে বিজেপি দলে যোগদান করতে হবে। কাজের মধ্য দিয়ে তাঁকে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।