প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূলের কাছে ঐতিহাসিক জয় বলে চিহ্নিত হয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে বিশাল ভোট পেয়ে ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল। কিন্তু রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পরেই তৃণমূল নেত্রী ডাক দিয়েছেন দিল্লির ক্ষমতা দখলের। কার্যত তাঁর লক্ষ্য এখন দিল্লি থেকে মোদী শাসনের অবসান। কিন্তু সেক্ষেত্রে তৃণমূলের একার শক্তি কম পড়বে তাই এবার মোদী বিরোধী ফ্রন্ট তৈরী করতে বড় ভূমিকা নিতে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সলতে পাকানোর কাজ যে ধীরে ধীরে তৃণমূল নেত্রী শুরু করেছেন তা যত দিন যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে। উল্লেখ্য তৃণমূল নেত্রী এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন।

যা বর্তমানে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলেই বিবেচিত হচ্ছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই রাজনৈতিক জগতে মোদী বনাম মমতার যুদ্ধ নজর কেড়েছিল সবার। আর সেই যুদ্ধ এবার সর্বভারতীয় স্তরে নিয়ে যাবার উদ্যোগ নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। প্রসঙ্গত এই কারণেই তিনি দিল্লি গিয়ে একাধিক বিরোধী নেতা নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি দেশের বিরোধীরাও এবার ধীরে ধীরে প্রত্যক্ষভাবে কিংবা পরোক্ষভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেস নেতা কমলনাথের সঙ্গেও বৈঠক সেরে ফেলেছেন।

বুধবার তিনি কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, বাঙালি রাষ্টপতির পর কি এবার বাঙালি প্রধানমন্ত্রীও বসতে চলেছেন দিল্লির মসনদে? উত্তর এখনও অজানা। কিন্তু তার আগেই বাংলার একাধিক জায়গায় এই প্রার্থনার ওপর ভিত্তি করে মন্দিরে মন্দিরে চলছে পুজো দেওয়া, প্রার্থনা। আজকে সকাল থেকেই ডায়মন্ডহারবার 2 নম্বর ব্লকের আখড়াপুঞ্জ গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তার জন্য পুজো দিয়ে প্রার্থনা শুরু করেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। পাশাপাশি ডায়মন্ডহারবার দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরুময় গায়েন নিশ্চিতভাবে জানিয়েছেন, 2024 এ দিল্লির মসনদে বসছেন রাজ্যের তৃণমূল দলনেত্রী।

এই মুহূর্তে বিরোধী জোটের মুখ হিসাবে তাঁকেই ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্লোগান শুরু হয়েছে বাংলা এবার বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চায়। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী কদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই মুহূর্তে বিরোধী জোটের একজন কর্মী হিসেবে থাকতে চাইছেন। তাঁকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে তিনি শুধুমাত্র সেই দায়িত্ব পালন করবেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখে এ কথা বললেও তিনি কিন্তু বিরোধী মালা গাঁথতে সুতোর কাজ করছেন। একথা সত্যি বাংলা শুধু বাংলার মেয়েকে প্রধানমন্ত্রী চাইলেই হবেনা, তাঁকে বিরোধী গোষ্ঠী থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে উঠে আসতে হবে। আর সেক্ষেত্রে তিনি কতটা সফল হন, তা আগামী দিনের রাজনীতির রুপরেখা বলবে।