এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ পৌরসভার চেয়ারম্যান -এর বিরুদ্ধে

কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ পৌরসভার চেয়ারম্যান -এর বিরুদ্ধে

বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজেনশীলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তিন পাতার একটা চিঠি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রেরকহীন এই চিঠি লেখা হয়েছে CBI কে উদ্দেশ্য করে। রাজেনবাবুর বিরুদ্ধে প্রায় ১৫ টি দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে লেখা ওই চিঠি সাড়া জাগিয়েছে ফেসবুক,ওয়াটস অ্যাপে। অভিযোগ গুলোর ভিতর উল্লেখ্য গুলি হল-নয়ডার পাঁচতারা হোটেল, কালো টাকা সাদা করার কর্মকান্ড। এছাড়া বলা হয়েছে বালুরঘাটের কিছু অসৎ ব্যবসায়ী যোগসাজেশের মদত নিয়ে দুর্নীতি মূলক কাজকর্ম চালান পৌরপ্রধান। এর পাশাপাশি মোটা টাকার বিনিময়ে বেআইনি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কাজ ছাড়াও যুক্ত আছেন ড্রাগ এবং মহিলাপাচারের মতো অন্যায় কারবারের সঙ্গে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

জানা যাচ্ছে, সরাসরি এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন তিনি এদিন। প্রথমে তিনি দলীয় অন্দরের কর্মীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। তারঁ বিরুদ্ধে এভাবে ছড়িয়ে পড়া অভিযোগনামা সামনে আসায় ও চেয়ারম্যান -এর দলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনায় ভীষণ অস্বস্তিতে পড়েছে জোড়াফুল শিবির। সামনেই পৌরসভা নির্বাচন।

এরকম অবস্থায় এই পোস্ট তৃণমূলের ভাবমূর্তিকে যাতে নষ্ট করতে না পারে তাই পৌরপ্রধান নিজেই দায়িত্ব নিয়েছেন ঘাসশিবিরের অস্বস্তি ঢাকতে।তাই পরে অভিমুখ পাল্টে বিরোধীদের চাক্রান্তের কথা বলেন। তাঁকে হেনস্থা করতেই বিরোধীরা এরকম হীন পরিকল্পনা করেছে বলেই তাঁর দাবী। তিনি আরো জানান যে বালুরঘাট পৌরসভায় উন্নয়নে তাঁর বিশেষ ভূমিকা থাকায় বিরোধীদের সেটা সহ্য হয়নি।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তাই তাঁর ভাবমূর্তিকে নষ্ট করতেই বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করেছে। এর পাশাপাশি তিনি এটাও জানিয়েছেন যে তিনি গোটা বিষয়টাই জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র থেকে শুরু করে বালুরঘাটের সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে জানিয়েছেন। তাঁরা নাকি রাজেনবাবুকে পুলিশের কাছে জানানোর পরামর্শও দিয়েছেন। অন্যদিকে রাজেন বাবুর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার খবর বিরোধের কিন্তু চুপ থাকতে নারাজ। তাদের মতে যা রটে তার কিছুটা শুধু শুধু রটে না। নিশ্চই কিছু না কিছু ব্যাপার আছে। রাজনৈতিকমহলের ধারণা যে সামনেই পৌরসভা নির্বাচন আর তার আগে চেয়ারম্যানের নাম দুর্নীতিতে জড়ানোয় প্রভাব পড়তে পারে নির্বাকাহ্নে আর একে যে বিরোধীরা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড় হাতিয়ার করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!