এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > আদালতের সবুজ সংকেত, তাহলে কি এবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা কাউন্সিলরদের! জেনে নিন

আদালতের সবুজ সংকেত, তাহলে কি এবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা কাউন্সিলরদের! জেনে নিন

দীর্ঘদিন ধরেই বনগাঁ পৌরসভায় চেয়ারম্যান বনাম কাউন্সিলরদের দ্বন্দ্ব চলছিল। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে এই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রটি দখল করে বিজেপি। আর বনগাঁ পৌর এলাকায় তৃণমূল বিজেপির থেকে প্রায় কুড়ি হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়ে। আর এরপরই বনগাঁ পৌরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলররা চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাকে সরানোর জন্য সরব হন।

শুধু তাই নয়, চেয়ারম্যানকে পদ থেকে সরানোর জন্য এই বনগাঁ পৌরসভার একাধিক কাউন্সিলার সেই শংকরবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থাও আনেন। প্রসঙ্গত, এই বনগাঁ পৌরসভার 22 টি আসনের মধ্যে তৃণমূল 20 একটি সিপিএম এবং একটি কংগ্রেসের দখলে ছিল।

এদিকে বনগাঁ পৌরসভায় যখন এই টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে, ঠিক তখনই লোকসভা নির্বাচনের পর সেই বনগাঁর তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস সেই পৌরসভার 12 জন তৃণমূল কাউন্সিলরকে নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপির পতাকা নিজেদের হাতে তুলে নেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এহেন একটা পরিস্থিতির পর সেই বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার জন্য এই পৌরসভার সকলে যখন উদগ্রীব হয়ে উঠেছে, ঠিক তখনই তীব্র দড়ি টানাটানি শুরু হয়। সূত্রের খবর, এবার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রক্রিয়া শুরুর আর্জি জানিয়ে হিমাদ্রি মন্ডল, মনোতোষ নাথ এবং দিব্যেন্দু বৈরাগী নামে তিন কাউন্সিলর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

আর এরপরই বৃহস্পতিবার আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তিন কাউন্সিলর মিলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার জন্য বৈঠক ডাকতেই পারেন। আর এতেই কিছুটা হলেও বিপাকে পড়লেন সেই বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই শংকরবাবু বলেন, “হাইকোর্ট জানিয়েছে পৌর আইন অনুযায়ী কাজ করতে হবে। ওই কাউন্সিলররা যদি আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চায়, তাহলে আইন অনুযায়ী আমার কাছে আবার অনাস্থা চিঠি দিতে হবে।” তবে শংকর আঢ্য এই ধরনের কথা বললেও কাউন্সিলররা আদৌ তাতে রাজি হন কিনা এবং এই গোটা ঘটনাটিকে নিয়ে ফের বনগাঁ পৌরসভার বিবাদ চরমে ওঠে কিনা! এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!