এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > চাকরি না দিলেই স্বেচ্ছামৃত্যু! ভয়াবহ বিক্ষোভে জেরবার মমতা-প্রশাসন!

চাকরি না দিলেই স্বেচ্ছামৃত্যু! ভয়াবহ বিক্ষোভে জেরবার মমতা-প্রশাসন!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  দীর্ঘদিন ধরে তারা আশায় ছিলেন, তাদের কর্মসংস্থান হবে। গত 2014 সালে টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তারা। আর তারপর মুখ্যমন্ত্রীর কথামতো নিয়োগ পত্র পাওয়ার আশায় বসেছিলেন বহু চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কোনো নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে হয় তাদের চাকরি দেওয়া হোক, তা না হলে তাদের স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক বলে রীতিমত বিক্ষোভে নেমে পড়লো প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ বঞ্চিত ডি.এল.ড ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, ছদিন বাঁকুড়ার জেলা শাসকের দপ্তরে সামনে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের। যার জেরে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সূত্রের খবর, এদিন এই ঐক্যমঞ্চের সদস্যরা নিজেদের গলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ছবি লাগিয়ে মিছিল করে জেলাশাসকের দপ্তরে সামনে আসেন। আর তারপরেই তারা দাবি তোলেন, অবিলম্বে তাদের নিয়োগ পত্র দিতে হবে। সেদিক থেকে তাদের নিয়োগপত্র যদি দেওয়া না হয়, তাহলে তাদের স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক বলেও দাবি তুলতে শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী প্রিয়ব্রত দাস বলেন, “16 হাজার 500 জন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কথা ছিল। গত বছর নভেম্বরে এই নিয়ে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বলেছিলেন যে, আমাদের নিয়োগের ব্যাপারে তিনি ভাবনা চিন্তা করবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। আমরা যারা পূর্ণ প্রশিক্ষণ নিয়ে ডিএলএট প্রার্থী রয়েছি, তাই এবার জেলা শাসকের কাছে এসেছি। গণঅবস্থান করছি। আমাদের একটাই আমাদের বেকারত্বের সমস্যার বিষয়ে কিছু ভাবনা চিন্তা করা হোক। আমাদের জেলায় 100 জনের উপরে প্রার্থী রয়েছে, যারা বিগত 7-8 বছর ধরে বেকার। আমাদের কথা এবার না ভাবলে বাধ্য হয়ে আমরা এবার স্বেচ্ছামৃত্যুর পথে হাঁটতে বাধ্য হব।”

আর এখানেই জেলা প্রশাসনের মধ্যে কিছুটা হলেও চিন্তার আবহ তৈরি হয়েছে। যদি এই চাকরিপ্রার্থীরা এবার নিজেদের আন্দোলনে অনড় থাকেন এবং এই রকম সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে গোটা বিষয়টি নিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এমনিতেই রাজ্যে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা। তার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে হাতিয়ার করে এখনও নিয়োগপত্র না পাওয়ার অভিযোগ তুলে যেভাবে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ এবং স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতির দাবিতে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ তাতে জেলা থেকে শুরু করে রাজ্য প্রশাসন ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের নিয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!