এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > চাকরির আকাল, ইঁদুর দৌড়ে শামিল আট থেকে আশি! কোথায় যাচ্ছে বেকারত্ব?

চাকরির আকাল, ইঁদুর দৌড়ে শামিল আট থেকে আশি! কোথায় যাচ্ছে বেকারত্ব?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারতবর্ষের বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির অবস্থা যে অত্যন্ত শোচনীয়, বারবার সেই কথা বলতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের। সেই মতো কেন্দ্র সরকার থেকে শুরু করে রাজ্যের শাসকদলকে বিরোধীদের কটাক্ষ শুনতে হয়েছে বারবার। তবে কেবল কটাক্ষই সার হয়েছে, এর বিশেষ ফল হয়নি কোনো ক্ষেত্রেই। তাই কার্যত উচ্চ শিক্ষিত হয়েও বহু মানুষ বেকার হয়ে রয়েছেন কিংবা চাকরির খোঁজে ছুটে যাচ্ছেন ভিন রাজ্য থেকে ভিনদেশে।

যদিও এর কারণ হিসেবে কোথাও দেশের অর্থনৈতিক অবনতি আবার কোথাও বর্তমানে একাধিক বিষয়ে অধিক পরিমাণ নাম্বার দেওয়াকেই দায়ী করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ছাড়াই তারা যে মাত্রা ছাড়া নাম্বার পেয়ে বসে আছে, আর তাতেই যে তাদের সমস্যা বাড়ছে অনেকখানি, সেই কথাও বলতে দেখা গিয়েছিল কোথাও কোথাও। সেই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে অনেকক্ষেত্রে চাকরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেক্টরগুলিতে লোক নেওয়ার মাত্রা নির্দিষ্ট থাকায় সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

বস্তুত, যে তুলনায় চাকরির শূন্যপদ রয়েছে সেই তুলনায় অনেক বেশি ছেলেমেয়ে প্রতিবছর পাস করছে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে একটি বড় অংশের মানুষের কাছে ডিগ্রী থাকলেও চাকরি জোটাতে গিয়ে তাদেরকে হিমশিম খেতে দেখা যাচ্ছে। তাই অল্প যোগ্যতার চাকরিতেও উপস্থিত হচ্ছেন উচ্চশিক্ষিতরা। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে মালদহ জেলায়। সেখানেও দেখা গেছে অষ্টম পাশ চাকরির জন্য ভিড় করেছেন উচ্চশিক্ষিতরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, মালদহে মাসদুয়েক আগেই বন সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। চাকরির শর্ত হিসাবে জানানো হয় আবেদনকারীকে শুধুমাত্র অষ্টম শ্রেণি পাশ হতে হবে এবং সেইসঙ্গে ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। চাকরি প্রার্থীদের বয়সসীমা ১৮ থেকে ৪০ বছর নির্ধারিত করা হয়। প্রথমত জানা গেছে, রাজ্যজুড়ে মোট দু’হাজার শূন্যপদের জন্য কমপক্ষে কয়েক লক্ষ মানুষের আবেদনপত্র জমা হয়। আর তারই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার থেকে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হয়। আর সেই লাইনেই কর্মপ্রার্থীদের ভিড় দেখে চোখ কপালে ওঠে অনেকের।

সেখানে করোনা বিধির কথা যেমন মানা হয়নি তেমনই অষ্টম শ্রেণি যোগ্যতার বন সহায়কের চাকরির আবেদন করতে দেখা গেছে উচ্চশিক্ষিতদের। তবে শুধু মালদহই নয়। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, মালদহের মতো আরও বিভিন্ন জেলাতেও নাকি অষ্টম শ্রেণি যোগ্যতার চাকরিতে আবেদন করতে দেখা গেছে অধিকাংশ উচ্চশিক্ষিতদের। জানা গেছে আবেদনকারীর অধিকাংশই স্নাতক। তবে এখানেই যদি আপনি অবাক হন, তবে অবাক হওয়ার আপনার আরও বাকি আছে।

শুধু স্নাতকই নয়, সেই তালিকায় দেখা গেছে স্নাতকোত্তর থেকে ইঞ্জিনিয়ার, ডক্টরেট এমনকী পিএইচডি যোগ্যতার অনেককেই। প্রত্যেকেই বনদপ্তরের এই চাকরিতে আবেদন করেছেন বলে জানা যায়। ইন্টারভিউয়ের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক আবেদনকারীদের অভিযোগ যে, উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও চাকরি জোটেনি তাদের। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই বন সহায়ক পদের এই চাকরির জন্য আবেদন করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে মালদহের ফরেস্ট ডিভিশনের সদর রেঞ্জ অফিসারকে উচ্চশিক্ষিতরা যে আবেদন করেছেন, তা স্বীকার করে নিতে দেখা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!