এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা বাগিয়েছেন তৃণমূল নেতারা! পুলিশে গেলেন ঘাসফুল কর্মীরাই!

চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা বাগিয়েছেন তৃণমূল নেতারা! পুলিশে গেলেন ঘাসফুল কর্মীরাই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তৃণমূলের নানা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। কিন্তু এবার বিরোধীদের তরফ থেকে নয়, বরঞ্চ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে মালদহ জেলা পরিষদের সদস্য তথা তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধেই উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। সূত্রের খবর, এই জেলা পরিষদের সদস্য তথা তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রতুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মহম্মদ সাজাহান নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আশা কর্মী পদে চাকরির জন্য আমি হুমায়ুন সাহেবকে দু লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। বলেছিল, 10 দিনের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে। কিন্তু দু বছর পার হলেও কাজ হয়নি। টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা জুবাইর আহমেদ বলেন, “দুজন আশা কর্মীর চাকরির জন্য হুমায়ুনের হাতে 4 লক্ষ টাকা দিয়েছি।” তবে তার বিরুদ্ধে এই সমস্ত অভিযোগ করা হলেও, তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন সেই হুমায়ুন কবীর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে দলের একাংশ চক্রান্ত করছে। এর আগেও আমার ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়েছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনিতেই নানা জায়গায় আশান্তি বাড়তে শুরু করেছে। শাসক বনাম বিরোধীদের সংঘর্ষ বাড়তে শুরু করেছে। এতদিন বিরোধীরা বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নানা নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে শুরু করেছিল, কিন্তু এবার তৃণমূলের নেতাই যেভাবে নিজের দলের কর্মীদের দ্বারা অভিযুক্ত হলেন, তাতে পরিস্থিতি ঘাসফুল শিবিরের ক্ষেত্রে আরও বেকায়দায় হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সম্পাদক দীপঙ্কর রাম বলেন, “চাকরির নাম করে টাকা তোলা তৃণমূলের সংস্কৃতি।” তবে এই বিষয়ে প্রশাসন তদন্ত করুন বলে পাল্টা জানিয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু। কিন্তু যে যাই বলুন না কেন, পরিস্থিতি যে ক্রমশ জটিল হয়ে যেতে শুরু করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!