চাকুরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর, বড়সড় ঘোষণা মমতা সরকারের কলকাতা রাজ্য July 10, 2019 লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকে আক্ষরিক অর্থেই সবক্ষেত্রে কল্পতরু হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ইতিমধ্যে সরকারি কর্মচারীদের বেতন কমিশন চালু করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারি চাকরিতে প্রচুর শূন্যপদে নিয়োগের ঘোষনা করলেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, রাজ্যে মোট ৩৩৬৮৭ সরকারি শূন্য পদ দ্রুত পূরণ করবে সরকার।এছাড়াও সমস্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ৫০০০ টাকা সাহায্য করা হবে বলে এদিন বিধানসভায় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্মসংস্থানকে হাতিয়ার করে প্রচার করেছে বিরোধীরা।বিরোধীদের অভিযোগ ছিল রাজ্য সরকারি চাকরিতে কোন স্থায়ী নিয়োগ করা হচ্ছে না। কেবল সিভিক ভলান্টিয়ারের মত কিছু অস্থায়ী পদ তৈরী করা হয়েছে। গত ৮ বছরে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে প্রচুর কর্মী অবসর নিয়েছেন। সেই পদগুলিতে কেবলমাত্র কিছু অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করে কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বহু পদ শূন্য থাকছে। আর নতুন করে শুন্যপদ সৃষ্টিতে কোনও আগ্রহই দেখায়নি তৃণমূল সরকার। বিরোধীরা বারবার নির্বাচনী প্রচারে দাবি করেছিল যে কর্মসংস্থান না করে, কর্মীদের সঠিক অনুপাতে বেতন না দিয়ে শুধুমাত্র মেলা-খেলা উৎসব করে সরকারি অর্থ অপচয় করছেন মমতা ব্যানার্জী। যদিও মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে লক্ষ লক্ষ চাকরি দেওয়ার পরিসংখ্যান দিয়েছেন। কিন্তু তা বিশ্বাসযোগ্য না হওয়ায় রাজ্যের যুবসমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ তৃণমূলের থেকে যেভাবে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তা ভোটের ফলে প্রতিফলিত হয়েছে। যুবসমাজের মন জয় করার জন্যই দীর্ঘসময় পর এত শূন্যপদে নিয়োগ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। ষষ্ঠ বেতন কমিশন ঘোষনার পাশাপাশি এই নিয়োগের ফলে রাজ্য সরকারের ওপর অনেকটাই আর্থিক বোঝা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -