এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চাকুরির স্থায়ীকরণ ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে দপ্তর ঘেরাও রাজ্যের কৃষক বন্ধুদের।

চাকুরির স্থায়ীকরণ ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে দপ্তর ঘেরাও রাজ্যের কৃষক বন্ধুদের।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৯ সালে কৃষক বন্ধু সহায়ক হিসাবে একাধিক প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছিল। যাদের বেতন হিসেবে দৈনিক পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। তাদের প্রতিদিনের পারিশ্রমিক হলো ২৮৬ টাকা ৫০ পয়সা। পরবর্তীতে রাজ্যের সমস্ত কর্মবন্ধু ও সহায়ক দের ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি ও সমকাজে সমবেতন দেবার ঘোষণা করা হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। এখনও পর্যন্ত অন্যান্য সহায়ক বন্ধুদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পৌঁছে দেয়া হলেও, রাজ্যের কৃষক বন্ধুদের কাছে নিয়োগপত্র পর্যন্ত এসে পৌঁছয় নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে আজ বেলা বারোটায় স্ট্যান্ড রোডের জেসপ বিল্ডিং এর সামনে বিক্ষোভ দেখালেন কৃষক বন্ধুরা।

আজ ২৭ জন কৃষক বন্ধু জেসপ বিল্ডিং এর একবারে প্রবেশদ্বারের সামনে বসে বিক্ষোভ জানালেন, যাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। চাকরির স্থায়ীকরণের দাবি যেমন তুলেছেন তাঁরা, তেমনি সমকাজে সমবেতনের দাবিও তুলেছেন। রাজ্যের নানা স্থান থেকে এসেছিলেন এই কৃষক বন্ধুরা, যোগদান করেছিলেন বিক্ষোভে। কৃষক বন্ধু সংগঠনের সম্পাদক রাহুল কর্মকার জানালেন যে, অন্যান্য সমস্ত দপ্তরের সহায়ক বন্ধুদের কাছে কাগজপত্র পৌঁছে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও কৃষক বন্ধু সহায়কদের হাতে নিয়োগ পত্র পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আন্দোলনরত কৃষক বন্ধুরা জানিয়েছেন, তাদেরকে কম্পিউটারে ডেটা এন্ট্রি, ভেরিফিকেশনের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু কৃষকদের ক্রেডিট কার্ড, কৃষকের মৃত্যু হলে তার তদন্ত করা, কৃষক বীমা থেকে আরম্ভ করে স্বাস্থসাথী, কন্যাশ্রী সমস্ত কিছুর কাজ তাদেরকে দিয়ে করানো হয়। কিন্তু বেতনের পরিমাণ অত্যন্ত কম। তাই এবার তাঁরা সম কাজে সম বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, ইতিপূর্বে তাদের সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে নানারকম আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি।

এবার তারা তাদের দীর্ঘদিনের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁরা উপস্থিত হন জেসপ বিল্ডিং এর মূল প্রবেশদ্বারের সামনে। তাঁদের বিক্ষোভে শোরগোল পড়ে যায় এলাকাজুড়ে। এরপর কৃষি দপ্তরের ডিরেক্টর তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাদের সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নবান্নের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, একাধিক কৃষক বন্ধু অভিযোগ করেছেন যে, নবান্নে গিয়ে তারা সহযোগিতা পাননি। কৃষি দপ্তরের সচিব তাদেরকে সহযোগিতা করেন নি। ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে যেতে চাইলে, যেতে দেয়া হয়নি। এভাবেই বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন রাজ্যের কৃষক বন্ধুরা প্রায় দু ঘন্টা ধরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!