এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > চলতি বছরেই শেষ হতে চলছে রাইটার্স বিল্ডিং এর সংস্কারের কাজ

চলতি বছরেই শেষ হতে চলছে রাইটার্স বিল্ডিং এর সংস্কারের কাজ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ইংরেজ আমল থেকে রাজ্যের শাসনকার্য চলত রাইটার্স বিল্ডিং থেকে। ১৭৭৬ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ক্লার্ক, রাইটারদের থাকার জন্য এই ভবনটি তৈরি হয়েছিল। তখন তার নাম দেয়া হয়েছিল রাইটার্স বিল্ডিং। পরবর্তীতে আবার এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৭৭৭, ১৮৮১,১৯০৬ সালে। ভবনের অনেকটা সম্প্রসারণ করা হয়। গত ২০১৩ সাল পর্যন্ত এখান থেকেই রাজ্য প্রশাসনের সমস্ত কাজকর্ম চলত। এরপরে জীর্ন হয়ে যাওয়া এই ভবনের সংস্কারের কাজ শুরু করে রাজ্য সরকার।

প্রসঙ্গত, ইংরেজ চলে যাবার পরে দেশ স্বাধীন হলেও রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর ছিল এই রাইটার্স বিল্ডিং বা মহাকরণ। কত মুখ্যমন্ত্রীর স্মৃতি যে মহাকরনের সঙ্গে জড়িত, তা বলে শেষ করা যায় না। বিনয়-বাদল-দীনেশের দুঃসাহসিক অভিযানের স্মৃতিধন্য এই লালবাড়ি। গত ২০১৩ সালের ৭ ই আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী এখান থেকে নবান্নতে রাজ্য প্রশাসনের সদরদপ্তর স্থানান্তরিত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তারপর থেকে নবান্নতে চলছে রাজ্যশাসনের কাজ। দীর্ঘ সাত বছর ধরে সংস্কার চলছে মহাকরণের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গেছে যে, মহাকরণের সংস্কারের কাজে মোট ১৫০ কোটি টাকার ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত ৪০ কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে। অনেকটা কাজ শেষ হলেও এখনও ফ্লোরিং, ফিনিশিংয়ের কাজ বাকি আছে। এ প্রসঙ্গে মহাকরণের লাইব্রেরির জনৈক কর্মী জানালেন যে, আগে এই ভবনের ভগ্নদশা হয়েছিল, তবে এখন অনেকটাই ভাল অবস্থা।

মহাকরণের ঐতিহ্যকে অক্ষুন্ন রেখে এর ব্লক ওআন, ব্লক টু এর অনেকটা অংশের সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। ব্লক ওয়ানের ঘরগুলোর গঠন পূর্বের মতোই রাখা হয়েছে। তবে দরজা ও ঘর আরো লম্বায় বাড়ানো হয়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগে বদল এসেছে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর মহাকরণ সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে বহু বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রাজ্য সরকার।

এ বিষয়ে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছিল। ইতিহাসের স্মৃতি জড়ানো এই ভবনের প্রাচীন ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রেখে, কিভাবে এর সংস্কার চলবে? এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। এ কাজে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে এর সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, এখনো কিছুটা সংস্কারের কাজ বাকি আছে। তবে, মহাকরণের সংস্কার শেষ করে নতুনরূপে এ বছরেই সামনে আসতে চলেছে এই লালবাড়ি। এমনটাই সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!