এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আবহে বড় সিদ্ধান্ত! জনসাধারণের জন্য অবশেষে চালু হয়ে গেল লোকাল ট্রেন! জানুন বিস্তারিত

করোনা আবহে বড় সিদ্ধান্ত! জনসাধারণের জন্য অবশেষে চালু হয়ে গেল লোকাল ট্রেন! জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– বিশ্বের একটি বড় সংখ্যক মানুষ যে লোকাল ট্রেনের পরিবহনের সুবিধাকে কেন্দ্র করেই গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে সফর নির্ধারণ করে থাকেন, সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হবে না। তাই বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন ধীরে ধীরে উঠতে শুরু করলেও মেট্রো পরিষেবার সঙ্গে সঙ্গে লোকাল ট্রেনগুলির পরিষেবা শুরু না হওয়ায় অসুবিধায় রয়েছে অনেক মানুষই।

গন্তব্য স্থলে পৌঁছতে তাই কার্যত গাড়ি করে কিংবা দু-তিনবার ব্রেক জার্নি করার মাধ্যমেই কাজের জায়গায় পৌঁছতে হচ্ছে তাদেরকে। সেইসঙ্গে বাসে মানুষজনের বাদুড়ঝোলা ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বহু জায়গায়। যদিও রাজ্যে রেলের কর্মচারীদের জন্য ট্রেন চালানো হলেও সেখানে ওঠার অনুমতি নেই সাধারন মানুষের। তাই মেমু ট্রেনের পাশাপাশি লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে অনেক জায়গাতেই অবরোধ দেখা গিয়েছিল সাধারণ মানুষের।

তবে সম্প্রতি রাজ্যে সেই ব্যবস্থা চালু না হলেও মহারাষ্ট্র সরকার লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। গতকাল মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে মধ্য ও পশ্চিম রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে এই বিষয়ে লিখিতভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে অনুমতি না পেলেও পুজোর মরশুমে পর্যটন স্থানগুলির উদ্দেশ্যে একাধিক ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেখানে কালকা সিমলা মাঝে ডিলাক্স ট্রেন নিয়মিত চলাচল করেছে বলে জানা গেছে এবং সামনের মাস পর্যন্ত তা আপাতত চলবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে কোনো পরিকল্পনা দেখা যায়নি। তবে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে যেহেতু রেলের আয়ের অর্ধাংশ দূরপাল্লার ট্রেনের সংরক্ষিত টিকিট থেকে আসে, তাই দূরপাল্লার ট্রেনগুলি চালালে রেলের আয় কিছুটা যোগ হবে।

তাই আপাতত সেই দিকেই নজর রাখছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে ভ্যাকসিন না বেরোনো পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে এখনই কিছু ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে না বলেই জানা গেছে। তবে সেক্ষেত্রে নভেম্বর মাসে যদি করোনার ভ্যাকসিন বেরিয়ে যায়, তবে তারপরে সাধারণ মানুষের জন্য লোকাল ট্রেন চালানো হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, করোনা আবহে কোন সময়ে কীভাবে সাধারণ যাত্রীরা ট্রেনে চড়বেন তা নিয়েও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জানান হয়েছে, রোজ সকাল সাড়ে সাতটার সময়ে প্রথম লোকাল ট্রেনে সাধারণ যাত্রীর টিকিট বা পাস নিয়ে চড়তে পারবেন। অন্যদিকে, সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত জরুরি কাজে যুক্তরা কিউআর কোড/ আইকার্ড-সহ টিকিট নিয়ে যাত্রা করতে পারবেন।

অন্যদিকে, দুপুর এগারোটা থেকে সাড়ে চারটে পর্যন্ত সাধারণ যাত্রীরা টিকিট ও পাসে যাত্রা করতে পারবেন। আবার পাঁচটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত জরুরি কাজে যুক্তরা কিউআর কোড, আইকার্ড-সহ টিকিট বা পাসে যেতে পারবেন। অন্যদিকে, রাত আটটা থেকে শেষ ট্রেনে সবাই টিকিট বা পাশে যাত্রা করতে পারবেন। সেইসঙ্গে মহিলাদের জন্য প্রতি ঘন্টায় ট্রেন চলবে বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!