এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে, তীব্র গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে

চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে, তীব্র গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে উত্তাল রাজনৈতিক পরিবেশ। নারদা কান্ডের জের ধরে সিবিআই এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের চার পোড়-খাওয়া রাজনৈতিক কান্ডারী, যাদের মধ্যে তিনজনের শাসক দলের সদস্য এবং অন্যজন প্রাক্তন বিজেপি নেতা। তবে নারদা কান্ডে জড়িত ছিলেন আরও অনেকেই। তাঁদের সম্পর্কে কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন উচ্চবাচ্য হতে দেখা যায়নি। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়। যারা দুজনেই এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা বলেই পরিচিত। তবে বিতর্ক শুরু হয়েছে অন্য জায়গায়।

নারদা কান্ডে যুক্ত হওয়ার জন্য গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূলের তিন নেতা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় এই নারদা মামলার যাবতীয় তথ্য দিয়েছিলেন। কিন্তু যাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং যাদের নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক শোরগোল, সেই মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু নির্বাচনী মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় নারদা মামলার কথা উল্লেখ করেননি কোথাও। সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন দুই তৃণমূল নেতা এবার বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে লড়ছেন। কিন্তু নারদা মামলায় অভিযোগের তথ্য তাঁরা হলফনামায় গোপন করে গেছেন। মোট 13 জনের নাম উঠেছিল এই নারদা মামলায়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এখনো পর্যন্ত পাঁচজনকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে জানা গেছে, নির্বাচনী হলফনামায় একটি নির্দিষ্ট জায়গায় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা থাকলে তার তথ্য দিতে হয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় হলফনামার নির্দিষ্ট জায়গায় নারদ মামলার তথ্য সবিস্তারে জানিয়েছিলেন। এমনকি তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির যে যে ধারায় মামলা চলছে বা অভিযোগ রয়েছে, সেগুলিরও তাঁরা উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী যিনি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন এবং যিনি বিরোধী দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি কিন্তু নিজের বিরুদ্ধে কোনো রকম মামলার তথ্য দেননি হলফনামায়।

এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে, সে তথ্যও গোপন করেন তিনি বলে জানা গিয়েছে। ঠিক একইভাবে কৃষ্ণনগরের বিধায়ক তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় যিনি নারদা মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত হয়েছেন, তিনিও কিন্তু নির্বাচনী হলফনামায় সমস্ত তথ্য গোপন করেছেন। অন্যদিকে এই গোপনীয়তা প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী কিংবা মুকুল রায় কেউই কোনো মন্তব্য করতে চাননি। অন্যদিকে গত সোমবার যে চার হেভিওয়েটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অর্থাৎ ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চ্যাটার্জির ভাগ্য নির্ধারিত হবে আজ হাইকোর্টের অলিন্দে। আর তাই নিয়েই চলছে ব্যাপক টানাপোড়েন রাজ্য রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!