এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলের বিরুদ্ধেই এবার বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিজেপিনেতা চন্দ্রকুমার বসু

দলের বিরুদ্ধেই এবার বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিজেপিনেতা চন্দ্রকুমার বসু


বিগত বেশ কয়েকদিন রাজ্য-রাজনীতিতে অন্যতম চর্চিত নাম বিজেপিনেতা চন্দ্রকুমার বসু। ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হয়েও ‘ভুল করে’ বামফ্রন্টকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। আর সেই নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরে অবশ্য আর সেভাবে তাঁকে সংবাদ শিরোনামে পাওয়া যায় নি।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু গত কয়েকদিন ধরেই চর্চা, বিজেপির দুবারের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ চন্দন মিত্রের সাথে তিনিও নাকি একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূলে যোগদান করছেন। রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য-রাজনীতিতে এই জল্পনা ঘিরে। এরপর তিনি নিজের অফিসিয়াল ট্যুইটারে জানিয়ে দেন, রাজ্যনেতৃত্ত্বের উপর তাঁর ক্ষোভ থাকলেও তিনি দল ছাড়ছেন না। বরং দলের মধ্যে থেকেই দলের খামতিগুলো পূরণ করতে চান। সেই ট্যুইটে তিনি ‘ট্যাগ’ করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে।

এরপরেই তিনি এক দীর্ঘ তিন পাতার চিঠি পাঠান অমিত শাহকে। সেই চিঠি প্রসঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, দলের অভ্যন্তরে সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে আমি সভাপতিকে চিঠি দিতেই পারি, চিঠিতে বিশ্লেষণ করে জানিয়েছি কেন এই সাংগঠনিক দুর্বলতা। অনেকেই সমালোচনা করেন – আমি এর থেকে বেরিয়ে আসার পথও জানিয়েছি সভাপতিকে।

এরপরেই কার্যত বোমা ফাটান রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রকুমার বসু। বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন নিজের দলের বিরুদ্ধেই। তিনি জানান, দল ছাড়ার হলে সবাইকে জানিয়ে ছাড়ব। এই কথা কারা রটাচ্ছে জানি না, তৃণমূলের তরফে তো কেউ এমন কিছু বলেননি। আমার দুই ভাই ওই দলে আছে – অমিত মিত্র আর সুগত বসু। তৃণমূলের কেউ বললে জানতে পারতাম। হতে পারে বিজেপির কেউ রটাচ্ছে এসব।

স্বাভাবিকভাবেই চন্দ্রকুমার বসুর এই অভিযোগের পরে রীতিমত শোরগোল পড়ে গেছে গেরুয়া শিবিরে। তাঁর বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার কেউ বা করা অন্তর্ঘাতের চেষ্টা করছে বা দলীয়স্তরে তাঁর অবস্থান নিয়ে তাঁকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছেন। এমনিতেই তিনি এর আগে রাজ্যের শীর্ষনেতৃত্ত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন – এমনকি যাননি মেদিনীপুরে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর জনসভাতেও। আর তার উপরে তাঁর এই অভিযোগে প্রকাশ্যে এসে গেল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বও – সবমিলিয়ে তাঁর মন্তব্য ঘিরে বেশ ভালো রকমের জলঘোলা হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!