রাজ্য মন্ত্রিসভায় হতে চলেছে বড়সড় রদবদল, ছাটা হবে বহু মন্ত্রীর ডানা, ক্ষমতাবৃদ্ধি রাজীবের কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য November 18, 2019 কিছুদিন আগেই নবান্নের সভাগৃহে বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যে বৈঠকে অনেক দপ্তরের কাজেই যে তিনি প্রবল ভাবে অসন্তুষ্ট তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী। আর তারপরেই রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদলের আশঙ্কা করেছিলেন অনেকে। অবশেষে হচ্ছে সেই রদবদল। সূত্রের খবর, সোমবার মন্ত্রীদের নতুন দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ঠিক কার কার দায়িত্ব বাড়ছে! আর কারই বা দায়িত্ব কমছে! সূত্রের খবর, বর্তমানে অনগ্রসর এবং আদিবাসী কল্যাণ দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ব্রাত্য বসুর হাতে থাকা বনদপ্তর এবার চলে যেতে পারে সেই রাজীববাবুর হাতে। সেক্ষেত্রে ব্রাত্য বসুর হাতে বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও বায়োটেকনোলজি দপ্তর থাকবে। অন্যদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে থাকা অনগ্রসর ও আদিবাসী কল্যাণ দপ্তরের দায়িত্ব পেতে পারেন এতদিন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী থাকা বিনয় বর্মন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সাধারণত বিদ্যুৎ এবং অপ্রচলিত শক্তি দপ্তরের একজনের হাতেই থাকে। আর সেই মত এতদিন এই দপ্তর সামলাচ্ছিলেন ছিলেন রাজ্যের প্রবীন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু এবার বিদ্যুৎ দপ্তর শোভনদেববাবুর কাঁধে রেখে অপ্রচলিত শক্তি দপ্তর সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে যেতে পারে বলে মনে করছে একাংশ। তবে চাপ কিছুটা কমানো হচ্ছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়েরও। এতদিন সুব্রতবাবু কাধে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তর ছিল। কিন্তু এবার সেই দপ্তরটি যেতে চলেছে শান্তিরাম মাহাতোর হাতে। আর আজ যদি মন্ত্রিসভায় এই রদবদল অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে তাতে অনেক যোগ-বিয়োগের হিসেব কষতে শুরু করেছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। কেননা লোকসভা নির্বাচনের পর গত মে মাসে রাজ্য মন্ত্রিসভায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে যে জেলাগুলোতে ফল খারাপ হয়েছে, সেই জেলার মন্ত্রীদেরকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করে রেখেছিলেন তিনি। যার মধ্যে ছিলেন কোচবিহারের বিনয় বর্মন এবং পুরুলিয়ার শান্তিরাম মাহাতো। তবে এবার সেই তাদের দুজনকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর দেওয়ায় তাদের গুরুত্ব যে কিছুটা হলেও বাড়ল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত ব্যক্তিত্বরা মন্ত্রিসভায় আরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ায় তাদের অনুগামীদের মধ্যেও হাসি ফুটতে শুরু করেছে। রাজ্যে যখন বিজেপি ক্রমশ তাদের প্রভাব বাড়াচ্ছে – তখন মন্ত্রীসভার রদবদল কি কোনো রকম ইঙ্গিতবাহী? প্রশ্ন প্রায় সবমহলেই। সব মিলিয়ে আজ বিশেষ সূত্রে আভাস পাওয়ার মত মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটে কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -