এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চাপে পড়েই কি শুভেন্দুকে বলতে বাধা? বিরোধীদের প্রতিবাদে সরগরম বিধানসভা!

চাপে পড়েই কি শুভেন্দুকে বলতে বাধা? বিরোধীদের প্রতিবাদে সরগরম বিধানসভা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   অতীতের বাম এবং কংগ্রেসের মত যে এবারের বিরোধী দল বিজেপি হবে না, তা আগেভাগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অধিবেশন শুরুর সাথে সাথেই রীতিমতো প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করে নিজের সেই বক্তব্য বাস্তবায়িত করেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সারা রাজ্যের দিকে যেমন নজর ছিল জনতা জনার্দনের, ঠিক তেমনই নজর ছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের দিকে। এই বিধানসভা কেন্দ্রে একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

প্রথমে ফলাফল প্রকাশের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়লাভ করেছেন বলে টেলিভিশন মিডিয়াগুলোতে দেখানো হয়। পরবর্তীতে কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টে যায় সেই ফলাফল। যেখানে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরেই নন্দীগ্রামের এই ফলাফল নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সংশয় প্রকাশ করা হয়। গোটা ঘটনায় কারচুপি করার অভিযোগ তোলে শাসক শিবির। সম্প্রতি নন্দীগ্রাম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখনও পর্যন্ত নন্দীগ্রামের বিধায়ক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

মাঝেমধ্যেই এই প্রথম পরাজিত হয়েও কেউ একজন মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে দেখা যায় শুভেন্দুবাবুকে। আর এবার বিধানসভায় সেই শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ তুলতেই তাকে বাধাদান করার অভিযোগ উঠল বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। যেখানে সরাসরি বিধানসভায় প্রতিবাদ করে ওয়াকআউটের মধ্য দিয়ে বাইরে এসে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করতে দেখা যায় রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলতে ওঠার সাথে সাথেই তাকে কটাক্ষ করতে শুরু করেন তৃণমূলের বিধায়করা। যেখানে শুভেন্দুবাবুর পিতা শিশির অধিকারীর কথা তুলে ধরে কেন তার বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার ব্যাপারে কিছু বলছেন না শুভেন্দু অধিকারী, সেই ব্যাপারে কটাক্ষ ছুড়ে দেন তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। তবে এই সমস্ত বিষয়ে কর্ণপাত না করে নিজের মতো করে বক্তব্য রাখতে থাকেন নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসক শিবিরকে পাল্টা চাপে রেখে নন্দীগ্রামের কথা তুলে ধরেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কংগ্রেস এবং বাম মুক্ত বিধানসভা এই প্রথম। নন্দীগ্রামের জনতাকে ধন্যবাদ।”

এদিকে নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে ধরে শাসক শিবিরকে কটাক্ষ করার সাথে সাথেই শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা চাপে রাখার কৌশল গ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস. যেখানে অধ্যক্ষের কাছে গিয়ে গোটা বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটককে। আর এরপরই কোনো বিচারাধীন বিষয়ে এভাবে মন্তব্য করা যায় না বলে জানিয়ে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নন্দীগ্রাম নিয়ে তিনি বলতে ওঠার পরেই যেভাবে তাকে বাধাদান করার অভিযোগ উঠল, তার পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিরোধী বিধায়করা রীতিমতো প্রতিবাদ জানিয়ে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। স্বাভাবিকভাবেই সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভা।

এদিকে বাইরে বেরিয়ে এসেই গোটা ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের গাত্রদাহ হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন, আর সেই কথা তুলে ধরার কারণেই তৃণমূল বিধায়করা তেতেফুড়ে উঠেছেন বলে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ককে। যদিও বা শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের বক্তব্য নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কিছু কিছু প্রসঙ্গ আছে, যা উল্লেখ করা যায় না। যিনি মন্ত্রিসভার সদস্য, তাকে এইভাবে কিছু বলা যায় না। 77 নিয়ে গর্ব করছেন? এখন 75 রয়েছে। পরে শুন্য হয়ে যাবেন।” সব মিলিয়ে নন্দীগ্রাম নিয়ে এবার বিধানসভার অন্দরমহল যে উত্তপ্ত, তা বলাই যায়। তবে নন্দীগ্রাম বিধানসভা নিয়ে শাসক-বিরোধী তরজা এবং বিতর্ক শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!