চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত নতিস্বীকার ফেসবুকের অন্যান্য আন্তর্জাতিক জাতীয় বিনোদন May 26, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২৫ সে ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম গুলির প্রতি একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের কাছে তিন মাসের জন্য সময় চেয়েছিল সংস্থাগুলি। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের এই আর্জি মেনে নিয়েছিল। গতকাল পর্যন্ত তাদের সময় দেওয়া হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে চলতে বা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের মতো একাধিক প্ল্যাটফর্মগুলি কেন্দ্রের এই নির্দেশ মেনে চলতে অস্বীকার করেছিল। তাদের দাবি ছিল, তাদের হেডকোয়ার্টারের অনুমতি না নিয়ে তারা এতে সম্মতি জানাতে পারবে না। এর পরেই দেশে এই প্লাটফর্ম গুলির স্থায়িত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা শুরু হয়। তবে, শেষপর্যন্ত চাপের কাছে হার মানল ফেসবুক। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে নিতে সম্মত জানিয়েছে ফেসবুক। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। যে নির্দেশিকাতে জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে কেউ আপত্তিকর কোন পোস্ট দিলে তাকে ও সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মকে আদালতে আনা যাবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া আপত্তিকর ও বিতর্কিত পোস্ট খতিয়ে দেখতে প্রত্যেক সংস্থাকে একজন মুখ্য আধিকারিক নিযুক্ত করতে হবে। তিনি অবশ্যই ভারতের বাসিন্দা হবেন। তার সম্পর্কিত তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দিতে হবে সংস্থাগুলোকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মগুলির ওপর ত্রিস্তরীয় নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানাবার জন্য একটি বিভাগ আনা হবে। এখানে অভিযোগ করলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সমস্ত প্লাটফর্মে যোগাযোগের জন্য একজন প্রধান নিযুক্ত করা হবে। যিনি আইন রক্ষকের সঙ্গে সমন্বয় রাখবেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে বারবার আপত্তিকর পোস্ট দেবার অভিযোগ আসার পর কেন্দ্র এই নির্দেশ আনে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম গুলিকে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত কালের মধ্যে যদি কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা তারা না মেনে নেয়, বা এ বিষয়ে তারা কোনো সিদ্ধান্ত না জানায়, তবে দেশে তাদের আর ব্যবসা করতে দেয়া হবে না। দেশে তাদের বাজেয়াপ্ত করে দেয়া হবে। এরপর একমাত্র ক্যু বাদ দিলে অন্য কোন প্ল্যাটফর্ম এ বিষয়ে প্রায় নিশ্চুপ ছিল। তবে, শেষপর্যন্ত ফেসবুক কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে নিয়েছে। ফেসবুকের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে একটি বিশেষ বার্তা দেয়া হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, ফেসবুকের বিরাট ব্যবসা রয়েছে ভারতে। নিজেদের ব্যবসা না হারাতেই শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে নিয়েছে ফেসবুক। আপনার মতামত জানান -