এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চার বিজেপি কর্মীকে তুলে নিয়ে যেতেই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বাঁশে করে মার

চার বিজেপি কর্মীকে তুলে নিয়ে যেতেই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বাঁশে করে মার


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা বেড়ে চলেছে রাজ্যে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি খেজুরি এলাকায় দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক গন্ডগোল। কিছুদিন আগেই বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের ছটি কার্যালয় বিজেপি দখল করে নিয়েছে। আর তখন থেকেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত বলে জানা যাচ্ছে। বিজেপির দাবী অনুযায়ী তৃণমূল দুষ্কৃতীরা চারজন বিজেপি কর্মীকে আটক করে। আর এরপরেই এলাকাজুড়ে শুরু হয় বিজেপির ব্যাপক ক্ষোভ। পাল্টা তাঁরা তৃণমূল জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মদক্ষ পার্থপ্রতিম দাসকে মারধর করে এবং তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আর এই নিয়েই রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে উঠেছে খেজুরিতে। মঙ্গলবার বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাকে মারধরের। কিন্তু এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বিধায়ক তথা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা রঞ্জিত মন্ডল আবার পাল্টা দাবি করেছেন, এ ধরনের কোন ঘটনাই ঘটেনি। যার ফলস্বরূপ তৃণমূলের অন্দরে অনেকেই অবাক হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ন’টা নাগাদ খেজুরি 2 ব্লকের রসুলপুর থেকে শ্যামপুর পর্যন্ত এলাকায় গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা নিজেদের দলীয় পতাকা বাঁধছিল। সে সময় তাঁদের ওপর তৃণমূল কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ প্রসঙ্গে খেজুরি 2 উত্তর মন্ডলের সভাপতি নিখিল আড়ি জানিয়েছেন, তাঁরা যখন রসুলপুর থেকে পতাকা বেঁধে ফেরার পথে তাঁদের ওপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে এবং তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে। নিখিল আড়ি এদিন আরোও অভিযোগ করেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রায় 15 টি মোটরবাইক এবং চারজন বিজেপি কর্মীকে তুলে নিয়ে যায়। বিজেপি কর্মীরা থানেতে অভিযোগ করে এই নিয়ে। কিন্তু বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ প্রশাসন তাঁদের সাথে সহযোগীতা করেনা। এর ফলস্বরূপ, খেজুরির বিদ্যাপীঠ মোড় এবং কুঞ্জপুরে বিজেপি কর্মীরা পথ অবরোধ করে।  জানা গেছে, ওই রাস্তা দিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাদক্ষ পার্থপ্রতিম দাস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সে সময় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বিজেপি কর্মীরা ইট ছোঁড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় পার্থপ্রতিম দাসকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বিজেপি কর্মীরা মারধর করে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ পাঁচজন বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক অশান্তি প্রবল আকার ধারণ করার আতঙ্কে ইতিমধ্যেই এলাকায় পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস দলুই অভিযোগ করেছেন, তাঁদের দলীয় কর্মীরা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হবার পর পুলিশের জানানো হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি?

রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল যখন খেজুরিতে মোকাবিলা করতে পারছেনা, সে সময় প্রশাসন তৃণমূলকে সাহায্য করছে। উল্টে মিথ্যা অভিযোগে বিজেপি কর্মীদের আটক করা হয়েছে বলে তাপস দলুই প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে গত শনিবার খেজুরি 1 ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের শাসক দলের কার্যালয় দখল করার ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ কিন্তু এর পেছনে দাদার অনুগামীদের হাত থাকতে পারে। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব বেড়ে গিয়েছে কয়েক যোজন। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের জল্পনা তুঙ্গে। এই অবস্থায় তাঁর অনুগামীরাও যে দলবদল করবে সে কথা বলাই বাহুল্য।

তারই ফলশ্রুতি হিসেবে দলীয় কার্যালয় দখলে মদত কিনা তা নিয়ে জল্পনা থাকছে। এ ব্যাপারে জানতে খেজুরি 2 ব্লক তৃণমূল সভাপতি রামকৃষ্ণ দাসকে ফোন করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ ছিল বলে জানা গেছে। সব মিলিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে খেজুড়ি এলাকায় প্রবল রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের প্রকাশ। একদিকে শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্ব মাত্রা ছড়াচ্ছে, অন্যদিকে বিরোধী দল সেই অন্তর্দ্বন্দ্বের সুযোগ নিতে নাছোড়। এদিকে তৃণমূল বিজেপির রাজনৈতিক ঝামেলার প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়েছে খেজুরিতে। এলাকা রীতিমত থমথম করছে। পুলিশি প্রহরা অব্যাহত। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুরি নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক এলাকা হিসেবে পরিচিত খুব স্বাভাবিকভাবেই সেখানে তার অনুগামীর সংখ্যাও বৃহৎ। তাই এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব কাজ করছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!