এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > চার বছরেও মেটাচ্ছেন না পাওনা টাকা! প্রভাবশালী বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘিরে তীব্র শোরগোল

চার বছরেও মেটাচ্ছেন না পাওনা টাকা! প্রভাবশালী বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘিরে তীব্র শোরগোল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আসছে বিরোধী দলগুলি, যার মধ্যে বিজেপি অন্যতম। কিন্তু এবার গেরুয়া শিবিরের প্রভাবশালী এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে প্রতারণার। পুরুলিয়ার কাশীপুর ব্লকের মণিহারা পঞ্চায়েতের এক ব্যবসায়ীর বকেয়া টাকা না মেটানোর অভিযোগ উঠেছে এলাকার বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। আর তাই নিয়ে এখন ওই এলাকায় চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

সম্প্রতি পুরুলিয়া কাশীপুর ব্লকের মণিহারা পঞ্চায়েতে কোটেশন দিয়ে পঞ্চায়েত থেকে একটি স্কুলবাড়ি রং করার দায়িত্ব পান এলাকার বিজেপি নেতা দেবদাস মুখোপাধ্যায়। এই সূত্রে তিনি এলাকার এক দোকানদারের কাছ থেকে রং,চুন, সিমেন্ট কিনেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে যে দোকান থেকে দেবদাস মুখোপাধ্যায় রং করার কাঁচামাল কিনেছিলেন, সেই ব্যবসায়ী এবার দেবদাস মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন বকেয়া টাকা না মেটানোর।

অন্যদিকে জানা গেছে, অভিযুক্ত দেবদাস মুখোপাধ্যায় বিজেপির কাশীপুরের একটি মন্ডলের সহ-সভাপতি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি দাবি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত তাঁকে পুরো টাকা না দেওয়ায় তিনি বকেয়া মেটাতে পারেননি ওই ব্যবসায়ীর। অন্যদিকে এই অভিযোগের ভিত্তিতে মণিহারা পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের অনিমা মাহাতো জানিয়েছেন, পুরো ব্যাপারটি খোঁজ নিয়ে তারপর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে মণিহারা গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মনোজ কর্মকার জানাচ্ছেন, 2016 সালের মে মাস থেকে কয়েক দফায় রং চুন এবং কিছু সিমেন্ট দেবদাসবাবু নিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার বিল হয়েছিল 21 হাজার টাকার বেশি। কিন্তু বহুবার বলা সত্ত্বেও দেবদাসবাবু মনোজবাবুর বকেয়া মেটাননি। উপরন্তু তিনি দাবি করেছেন, পঞ্চায়েত তাঁকে রং করার পুরো টাকা না দেওয়ায় বকেয়া মেটাতে পারছেননা। কিন্তু মনোজ কর্মকার এদিন জানিয়েছেন, তিনি পঞ্চায়েতে যোগাযোগ করলে তাঁকে জানানো হয়, স্কুলভবন রং করার পুরো টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি নেতা দেবদাস মুখোপাধ্যায় টাকা নেওয়ার ব্যাপারটি স্বীকার করেন।

তবে তিনি জানান পঞ্চায়েত তাঁকে পুরো টাকা না দেওয়ায় তিনি মনোজবাবুর টাকা মেটাতে পারছেন না। কিন্তু পঞ্চায়েত থেকেই এক আধিকারিক নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, দেবদাসবাবুর পুরো টাকা 2016 সালেই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা সামনে আশায় যথারীতি তৃণমূলও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবিরকে। অন্যদিকে দেবদাসবাবুর এই কাণ্ডকারখানা সামনে আশায় বিজেপির যে মন্ডলের সহ-সভাপতি দেবদাস মুখোপাধ্যায় তারই সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে এই ঘটনা সামনে আসাতে খুব স্বাভাবিকভাবেই এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব রীতিমতো অস্বস্তির মুখে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত এই ঘটনা নিয়ে এখনো পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের উচ্চমহল থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে দুই শিবিরের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব যেখানেই পৌঁছাক না কেন, একজন সাধারণ ব্যবসায়ী তাঁর পাওনা টাকা ফিরে পাক সর্বাগ্রে। এবং সে দিকেই নজর রাখা উচিত সমস্ত দলের বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!