এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চার সাংসদ প্রতিমন্ত্রী হতেই তৃণমূলের কটাক্ষের জবাব দিলেন মমতার প্রাক্তন সৈনিক! জেনে নিন

চার সাংসদ প্রতিমন্ত্রী হতেই তৃণমূলের কটাক্ষের জবাব দিলেন মমতার প্রাক্তন সৈনিক! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলা থেকে 18 টি আসন পাওয়ার পরেও দুজন সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরী। কিন্তু তাদের পূর্ণমন্ত্রী করা হয়নি। দুজনেই প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছিল, হাফপ্যান্ট মন্ত্রী করে রেখে বাংলাকে অপমান করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে সম্প্রতি আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়। যেখানে বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে সরিয়ে দিয়ে বাংলার চার বিজেপি সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হয়। তবে এবারেও কাউকে পূর্ণমন্ত্রী দেওয়া হয়নি। বরঞ্চ সকলেই প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। আর এরপরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে আবার ‘হাফপ্যান্ট মন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে বিজেপি সাংসদের।

তবে এই ব্যাপারে এবার তৃণমূলকে জবাব দিয়ে ফেসবুক পোস্টের মধ্যে দিয়ে রাজ্য সরকারের প্রতিমন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে আক্রমণ ছুড়ে দিলেন পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রীদের হাফপ্যান্ট মন্ত্রী বলা হলে রাজ্য সরকারের প্রতিমন্ত্রীদের কি ছেঁড়া হাফপ্যান্ট বলা হবে! এই ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেসবুক পোস্টের মধ্যে দিয়ে সমালোচকদের উদ্দেশে একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা ছিলেন এই জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তৃণমূলের টিকিটে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে 2016 সালে জয়লাভ করা এই নেতাকে 2021 সালে সেই বিধানসভা কেন্দ্রেই টিকিট দেয় গেরুয়া শিবির। কিন্তু তিনি জয়লাভ করতে পারেননি। আর তারপর থেকেই তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। কেউ বলতে শুরু করেন, তার সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের সম্পর্ক ভালো নয়। আবার কেউ বা দাবি করতে থাকেন, তিনি আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যাবেন।

তবে এই পরিস্থিতিতে বিজেপির হয়েই ব্যাটিং করতে দেখা গেল সেই জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। এদিন একটি ফেসবুক পোস্ট করেন তিনি। যেখানে তিনি লেখেন, “আচ্ছা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রীকে যারা হাফপ্যান্ট বলছেন, রাজ্য সরকারের প্রতিমন্ত্রীদের তারা কি ছেঁড়া হাফপ্যান্ট মন্ত্রী বলবেন?” অর্থাৎ এই পোস্টের মধ্যে দিয়ে সমালোচক মহলের জবাব দিয়ে সর্বোপরি তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের বক্তব্যের জবাব দিয়ে বিজেপির হয়েই যে তিনি ময়দানে থাকবেন, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে আবার বলতে শুরু করেছেন, আসলে জিতেন্দ্র তিওয়ারি এখন ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে গিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনে পর্যুদস্ত হওয়ার পর তাকে প্রার্থী করা নিয়ে বিজেপির অন্দরে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ। তাই এই পরিস্থিতিতে বিজেপিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারছেন না তিনি। তাই এই পরিস্থিতিতে তিনি যদি তৃণমূলে পা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তার ভাবমূর্তি যথেষ্ট প্রশ্ন তৈরি হতে পারে। তাই সেদিকে না গিয়ে বিজেপির পাশেই দাঁড়িয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যেভাবে চার সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর তাদের হাফপ্যান্ট মন্ত্রী বলে কটাক্ষ করা হচ্ছে, তার পাল্টা বক্তব্য দিয়ে রাজ্য সরকারের প্রতিমন্ত্রীদের কি ছেঁড়া প্যান্ট মন্ত্রী বলা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ার সরগরম করে তুললেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

স্বাভাবিকভাবেই তার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি কিছুটা হলেও বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। হঠাৎ করে জিতেন্দ্র তিওয়ারির এই ফেসবুক পোস্ট কি বিজেপি নেতৃত্বের মন পাওয়ার জন্য, এখন সেটাই বড় প্রশ্নের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!