এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > ছত্রধর মাহাতোকে নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! জেনে নিন, কি বললেন তিনি!

ছত্রধর মাহাতোকে নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! জেনে নিন, কি বললেন তিনি!

বিগত বাম সরকারের আমলে জঙ্গলমহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকে বামেদের অস্থিরতা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ছত্রধর মাহাতো। তবে গত 2009 সালে জনসাধারণ কমিটির এই নেতার বিরুদ্ধে মাওবাদী তকমা লাগিয়ে তাকে জেলে পোড়ে বাম সরকারের পুলিশ। তারপর ধীরে ধীরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় এলেও, শ্রীঘর থেকে মুক্তি পাননি ছত্রধর মাহাতো। তবে এবার সম্প্রতি জেল থেকে মুক্ত হয়েই তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত কী হবে, তা নিয়ে নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়েছিল।

জানা গেছে, সম্প্রতি তার সঙ্গে বৈঠক করে তাকে তৃণমূলের ফেরার ব্যাপারে আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনকি তৃণমূলে তার অভিষেক যে প্রায় পাকা, তাও পরিষ্কার হয়ে গেছে নানা মহলের কাছে‌। আর এই পরিস্থিতিতে সেই ছত্রধর মাহাতোর তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সূত্রের খবর, বুধবার জলপাইগুড়িতে একটি মিছিল থেকে এই ব্যাপারে সরব হতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে। তিনি বলেন, “মাওবাদীদের জেল থেকে ছেড়ে দিয়ে ভোট জেতার পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। কিন্তু কোনো মাওবাদীই দিদিকে ভোটে যেতে পারবে না।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীলিপবাবু এই কথা বলে ছত্রধর মাহাতোর ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করলেন। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তিতেও কালি ছিটিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে মাওবাদীদের সংযোগ রয়েছে করে বোঝানোর চেষ্টা করলেন। প্রসঙ্গত, এই ছত্রধর মাহাতো জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই তা রাজনৈতিক ভবিষ্যত কী হবে, তা নিয়ে যখন নানা মহলে জল্পনা চলছিল, তখন এই ব্যাপারে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির চাণক্য মুকুল রায়‌।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে তিনি বলেন, “ছত্রধর মাহাতো 2009 সালে গ্রেফতার হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2011 সালে সরকারে এসেছেন। কিন্তু তিনি যখন ছত্রধর মাহাতোর প্রতি এতই দরদী হবেন, তখন তিনি তাকে জেল থেকে মুক্ত করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেননি!” আর মুকুলবাবুর এই কথা যে সত্যিই যুক্তিযুক্ত, তা দাবি করতে শুরু করেছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ।পাশাপাশি তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের এই কথার মোকাবিলা করতে সাহস দেখাননি তৃণমূলের কোনো নেতাও। আর এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায়ের পর ছত্রধর মাহাতোর তৃণমূলের যোগদানের সম্ভাবনা যখন জোরালো হয়ে উঠছে, তখন তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে শোরগোল তুলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

এদিকে এদিন সম্প্রতি বেশ কিছুদিন আগে রাজ্যে একটি জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়া নিয়েও তৃনমূলকে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “দিদির আমলে তৈরী সমস্ত নির্মাণের নমুনা পরীক্ষা হোক। শুধু জলের ট্যাংক বা উড়ালপুল নয়, যেকোনো সময় যেকোনো নির্মাণ ভেঙে পড়তে পারে।” এদিকে এদিন তৃণমূলের রননীতিকার প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধেও সরব হতে দেখা যায় দীলিপবাবুকে। তিনি বলেন, “পিকে দিদির মাসতুতো ভাই। নিজের ভাইদের উপর ভরসা নেই। তাই বিহার থেকে মাসতুতো ভাইকে আমদানি করেছেন।”

তবে দিলীপ ঘোষ যখন একের পর এক বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে কার্যত কোণঠাসা করে দিচ্ছেন, ঠিক তখনই পাল্টা এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া এসেছে তৃণমূলের তরফেও। তৃণমূল নেতৃত্বের থেকে দাবি করা হয়েছে, আসলে দিল্লিতে পর্যুদস্ত হয়ে দীলিপবাবুদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই এইসব কথা বলে উনি শিরোনামে থাকতে চাইছেন। কিন্তু দিল্লির থেকেও ওনাদের শোচনীয় পরাজয় হবে এই বাংলায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনীতিতে তরজা থাকবে। আর সেই তরজার অঙ্গ হিসেবেই তৃণমূল-বিজেপির এই তো। এখন এর কোনো প্রভাব আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভোট বাক্সে পড়ে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!