একদা ছত্রধর মাহাতোর সহকর্মীরাই কি এবার ঘুম ওড়াবে রাজ্য সরকারের? বাড়ছে জল্পনা রাজ্য October 22, 2018 ফের অশান্তির ভ্রুকুটি শান্ত জঙ্গলমহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য; কিছুদিন আগেই যখন বিদেশ সফররত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক তখনই দিনভর রেল অবরোধ করে জঙ্গলমহলের মানুষকে তিতিবিরক্ত করে তুলেছিল জনজাতি সংগঠন। মূলত সাঁওতালি ভাষার বিকাশ ও পঠন-পাঠনের সুযোগ বৃদ্ধিই ছিল তাদেরই আন্দোলনের প্রধান এবং প্রথম দাবি। আর এইখানে রাজ্যের গোয়েন্দাদের মনে তৈরি হয়েছে সন্দেহ। কেননা সামান্য এই দাবী নিয়ে জঙ্গলমহলের তিন জেলাকে অচল করে রাখার পেছনে রয়েছে বড় কোনো স্বার্থ। আর এমনটাই ইঙ্গিত পাচ্ছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। যা নিয়ে ইতিমধ্যে খোঁজখবর করতে মাঠে নেমে পড়েছে রাজ্য। জানা গেছে আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চ পেছনে রয়েছে মাওবাদী যোগ। সূত্রে খবর, গত এপ্রিল মাসে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগেই এই মঞ্চ আত্মপ্রকাশ করে। যেখানে তাদের মূল লক্ষ্য ছিল জঙ্গল মহলের তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করা। এমনকি এই ব্যাপারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে মেদিনীপুরের বেলপাহাড়ি; বাসপাহাড়ি; জামবনি; লালগড় এমনকি বাঁকুড়ার রাইপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীও দেয় তারা। তবে শুধু প্রার্থী দেওয়াই নয়; 115 টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৩০ টিতে জয় লাভও করে তারা। পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির 29 জন এরমধ্যে পাঁচজন এবং বেলপাহাড়ির একটি জেলাপরিষদ নিজেদের দখলে আনে এই আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চ। কিন্তু এই আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চের সাথে মাওবাদী যোগ যে নিশ্চিত তা কিভাবে বলতে পারেন গোয়েন্দা সংস্থা? জানা যায় জঙ্গলমহলের নিহত মাওবাদী নেতা কিষেণজির নেতৃত্বে যখন হিংসাত্মক আন্দোলন শুরু হয়েছিল তখন পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটিকে সামনে নিয়ে আসা হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন ছত্রধর মাহাতো। আর তখনকার সেই পুলিশ ও সন্ত্রাসবিরোধী জনসাধারণের কমিটির অনেক সদস্যই এখন আদিবাসী মঞ্চের হয়ে কাজ করছেন। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো করুন এই লিঙ্কেখবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক জানা গেছে এ আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চের সভাপতি বাবলু মূর্মু এবং সম্পাদক ধর্মাল মান্ডি গত 7 সেপ্টেম্বর শহরের নকশালদের ডাকা এক সমাবেশে কলকাতায় এসেছিলেন সেই ধরমাল মান্ডি। আর এই খানেই এই মঞ্চের সাথে মাওবাদী যোগ আরো স্পষ্ট হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন রাজ্যের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। অন্যদিকে এই মাওবাদীদের সাথে বিজেপির যোগসাজশ ও উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজ্যের গোয়েন্দারা। কেননা অতীতের সেই পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী জনসাধারণ কমিটির প্রাক্তন সভাপতি কানাই হাসদা এখন বিজেপির সাথে রয়েছেন। ফলে জঙ্গলমহল বিজেপির ভোট ব্যাংক বাড়াতে এখন কানাই হাঁসদার যথেষ্ট চেষ্টা করছেন বলেও মনে করছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর। সব মিলিয়ে এবার জঙ্গলমহলে ছত্রধর মাহাতোর সেই অতীতের পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির সদস্যরা বর্তমানে আদিবাসী সমন্বয় মঞ্চে যোগ দেওয়ায় প্রবল চিন্তায় নবান্ন। আপনার মতামত জানান -