এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ছত্রধরের অভিষেক কি তৃণমূলে! জোর জল্পনা!

ছত্রধরের অভিষেক কি তৃণমূলে! জোর জল্পনা!


বিগত বাম সরকারের আমলে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নাভিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ছত্রধর মাহাতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ে বাড়তি অক্সিজেন যুগিয়ে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ভিতকে শক্তিশালী করেছিলেন তিনি। তবে তৃণমূলের সুদিন দেখার সৌভাগ্য সেই ছত্রধর মাহাতোর হয়নি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পশ্চিম মেদিনীপুরের সফর চলার সময় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ কাণ্ডে 2009 সালে গ্রেফতার করা হয় জনসাধারণ কমিটির এই নেতাকে। আর তখনই ছত্রধর মাহাতোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। যার ফলস্বরুপ দীর্ঘদিন ধরে শ্রীঘরে থাকতে হয় তাকে।

অবশেষে সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। তবে ছত্রধর মাহাতো শ্রীঘর থেকে ছাড়া পেলেও, তার পরবর্তী রাজনৈতিক ভবিষ্যত কী হবে, আদৌ কি তিনি রাজনীতি করবেন, নাকি নিজের মতো করে থাকবেন! তা নিয়ে নানা মহলে ছড়িয়ে পড়েছে জল্পনা। আর এই পরিস্থিতিতে এবার ছত্রধর মাহাতোর তৃণমূলে ফেরার জল্পনাই তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠতে শুরু করল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ছত্রধর মাহাতোর কথা হয়। আর তারপরই তার ফের তৃণমূলে সক্রিয় হয়ে ওঠার জল্পরা তীব্র হয়ে ওঠে। তবে এবার সেই ছত্রধর মাহাতোর তৃণমূলে যোগ দেওয়া যে শুধুই সময়ের অপেক্ষা, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। এদিন ছত্রধর মাহাতোর সঙ্গে কথা বলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ছত্রধর তৃণমূলে এলে ভালোই হবে। জনসাধারণ কমিটি করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিল। তার কাজ জঙ্গলমহলের উন্নয়নের জন্য। আমাদেরও কাজ মানুষের উন্নয়নের জন্য।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে লোকসভা ভোটের সময়কাল থেকে জঙ্গলমহলে তৃণমূল তাদের জনমত হারাতে শুরু করেছে। যেখানে উত্থান ঘটেছে ভারতীয় জনতা পার্টির। তাই এই পরিস্থিতিতে সামনের পৌরসভা এবং তারপর বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে নিজেদের ভালো ফল করতে, দুর্দিনের সৈনিক ছত্রধর মাহাতোকে দিয়েই এখানকার মাটিকে তৃণমূলের মাটি করতে চাইছেন ঘাসফুল শিবিরের নেতৃত্বরা। তবে ছত্রধর মাহাতোর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠলেও, তাকে পাল্টা কটাক্ষ করছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2011 সালের সরকারে আসলেও ওনার ছত্রধর মাহাতোর কথা মনে পড়েনি। তাহলে তো উনি অনেকদিন আগেই ছত্রধর মাহাতোকে শ্রীঘর থেকে মুক্ত করে দিতে পারতেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা করেননি। এখন যখন ওনার বিপদ, তখন উনি ছত্রধর মাহাতোকে ব্যবহার করতে চাইছেন। তবে এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছে, লাভ ক্ষতির অংক কারোরই জানা নেই। রাজনীতিতে আগাম কোনো কিছু বলা যায় না। তাই ছত্রধর মাহাতো এখন পাকাপাকিভাবে কবে তৃণমূলে আসেন এবং তৃণমূলে আসলেও তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!