এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ছাত্রভোট নিয়ে বড়সড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর, জেনে নিন

ছাত্রভোট নিয়ে বড়সড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর, জেনে নিন

একটা সময় ছাত্র রাজনীতি ঘিরে চায়ের চুমুকে তুফান চলতো। আজকের রাজনৈতিক মঞ্চ আলোকিত করা অনেক বড় বড় নেতারা ছাত্র রাজনীতি করার সূত্রে উঠে এসেছেন। তবে যত দিন গড়িয়েছে ছাত্র রাজনীতি কালিমালিপ্ত হয়েছে। ছাত্র রাজনীতির সূত্রে বর্তমানে বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর রাজনৈতিক হানাহানিতে মেতে উঠেছিল। ফলস্বরূপ গত দু’বছর ধরে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র ভোট বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু দু বছর বন্ধ থাকার পর আবার ছাত্র ভোট শুরু হতে চলেছে।

অবশেষে রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র ভোট শুরু হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আপাতত একক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রভোট হবে। এবং তারপর ধীরে ধীরে কলেজগুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পালা শুরু হবে।

2018 সাল থেকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রভোট হওয়া বন্ধ আছে। রাজ্য সরকার সেন্ট জেভিয়ার্স এর আদলে অরাজনৈতিক ছাত্রসংসদ গড়ার কথা ভেবেছিল। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও একসময় এটির সমর্থনে মত প্রকাশ করেছিলেন। এদিকে পুরনো সংসদগুলির মেয়াদ ক্রমশ শেষ হয়ে আসছে। অতএব দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেক এই নির্বাচনের দাবি তুলেছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে শিক্ষামন্ত্রী দেখা করেছেন। সেখানেই জানা গেছে ছাত্রভোট শুরু হতে চলেছে খুব শীঘ্রই।

বৃহস্পতিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিনিধিরা বিকাশ ভবনে গিয়ে ছাত্রভোট করানোর দাবি তোলেন। পরে পার্থ বাবু ছাত্রভোট প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাজ্যের একক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে (যেগুলির অধীনে কোন কলেজ নেই) আমরা ছাত্রভোট করানোর নির্দেশ দিচ্ছি। ভোটের দিন এবং নিয়ম ঠিক করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’

অন্যদিকে উচ্চশিক্ষা দপ্তর ঠিক করেছে আপাতত প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী এবং ডায়মন্ডহারবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হবে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঠিক করবে ভোটের মাধ্যমে ছাত্র ইউনিয়ন হবে না ছাত্র কাউন্সিল হবে। আপাতত ঠিক হয়েছে দুই হাজার কুড়ি সালের জানুয়ারি মাসে এই 4 প্রতিষ্ঠানে ভোট হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এবিভিপি রাজ্য সম্পাদক সপ্তর্ষী সরকার এ সম্পর্কে জানিয়েছেন, “আমাদের দাবি লিংডো কমিশনের সুপারিশ মেনে রাজ্যের সমস্ত কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ভোট হোক। কিন্তু তৃণমূল সরকার নিজেদের শক্তি বুঝে নিতে মাত্র চারটি বিশ্ববিদ্যালয় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা আদতে অগণতান্ত্রিক। সাহস থাকলে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ভোট করুক তৃণমূল সরকার। আমরা তৈরি।’

অন্যদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন এর উত্তরে, ‘আমরা তৈরি। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ভোট হবে। আমাদের সঙ্গেই পড়ুয়ারা আছেন। ছাত্র ভোটের কথা ঘোষণা করায় শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ এদিকে ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সন্দীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘কেন শুধু চার জায়গায় ভোট হবে বুঝতে পারছি না। সব জায়গায় একসঙ্গে ছাত্রভোট হলে ভালো হত।’

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ বলেন, ‘আমরা আড়াই বছর ধরে ছাত্র ভোটের দাবিতে আন্দোলন করছি। কিন্তু সরকার যা করল তা এককথায় আধা গণতন্ত্র। কেন সব জায়গায় ভোট হবে না। বোঝাই যাচ্ছে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

কিছুদিন আগেই শিক্ষামন্ত্রীর তরফ থেকে জানানো হয়েছিল চলতি বছরে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রভোট হবে। শিক্ষা মন্ত্রী তৃণমূল ভবনে দলের ছাত্র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি ছাত্রনেতাদের। এবং রাজনৈতিকভাবে ভোট লড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলো যাতে এই ভোটে অংশ নিতে পারে তা নিশ্চিত করতে বলেন শিক্ষা মন্ত্রী‌।

তবে ছাত্র ভোট নিয়ে বিরোধী দল শাসক দলের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাঁদের দাবি, ছাত্রভোট হলে সব জায়গায় একসাথে হবে না কেন? কেন শুধু মাত্র চারটি জায়গায় ছাত্রভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার? ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে শাসক সরকার বলে দাবি তুলেছে বিরোধীদল। বিরোধীদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অবশ্য এখনো পর্যন্ত শাসকদলের কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। আপাতত আগামী দিনের হতে চলা ছাত্রভোটের দিকেই নজর রাখছে সমগ্র রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে ছাত্র ভোটের জন্য সব দলেরই ছাত্রবৃন্দ তৈরি হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!