এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ছাত্রভোট শুরু হতেই জয়জয়কার বামেদের, ‘ঘুরে দাঁড়ানো’ মানতে নারাজ শিক্ষামন্ত্রী

ছাত্রভোট শুরু হতেই জয়জয়কার বামেদের, ‘ঘুরে দাঁড়ানো’ মানতে নারাজ শিক্ষামন্ত্রী


সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার বহুদিন পর ছাত্র ভোট করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। একটা সময় ছাত্র রাজনীতি ঘিরে চায়ের চুমুকে তুফান চলত আড্ডায়। কিন্তু যত দিন গড়িয়েছে, ছাত্র রাজনীতি কালিমালিপ্ত হয়েছে। গত দু’বছর ধরে ছাত্র রাজনীতি হেতু স্কুল-কলেজগুলোতে হানাহানি বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র ভোট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রাজ্যে সরকারি সিদ্ধান্তে আবার শুরু হল পশ্চিমবঙ্গে ছাত্রভোট। প্রথম দফায় গত 14 ই নভেম্বর ভোট হয়েছে প্রেসিডেন্সি কলেজে। আর সেই ভোটে জিতল এসএফআই। ছাত্র সংসদ দখল করল তাঁরা।

গত কয়েক বছর পর আবার এসএফআই প্রেসিডেন্সি কলেজে ফিরে এলো। এবারের ভোটে শেষবারের ভোটের তুলনায় অনেক বেশি ভোট পড়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় নোটাতে প্রায় সাড়ে 12 শতাংশ ভোট পড়েছে। এফ এফ আই এদিন প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র সংসদ পদটি দখল করার পর কলেজ স্ট্রিটে বিজয় উৎসবে মেতে ওঠে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গেছে, এবার মোট ভোটার সংখ্যা ছিল 2 হাজার 377। তার মধ্যে 1950 জন ভোট দিয়েছে। পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতে এসএফআই দু’শোর বেশি সংখ্যা দখল করেছে। তবে এই নির্বাচনে নোটা একটা বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। নোটাতে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে সভাপতি এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদ দুটি। ও সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে গার্লস কমন রুমের সম্পাদক পদটি। ছাত্রীদের পক্ষ থেকে মাত্র 56 টি ভোট পড়েছে নোটায়। জয়ের মার্জিন থেকে গেছে একশোরও নীচে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উল্লেখ্য, 2010 এর পর থেকে টানা বেশ কয়েক বছর ধরে ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসলিডেশন প্রেসিডেন্সির ছাত্রসংসদের ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু 2019 এর পর পালাবদল হল। প্রেসিডেন্সির এই পালাবদলে প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। আইসির ছাত্র সংসদের পথ ধরে না রাখতে পারার কারণ হিসেবে উঠে আসছে শ্লীলতাহানি প্রসঙ্গ।

গত কয়েক বছর ধরে একাধিক শ্লীলতাহানীর অভিযোগ ওঠে আইসির সদস্যের বিরুদ্ধে। কিন্তু সে নিয়ে আইসি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে আইসির প্রতি পড়ুয়া মহলে বিক্ষোভ জমেছিল। ছাত্র নির্বাচনের আগে একটি বিতর্ক সভা আয়োজন হয়েছিল প্রেসিডেন্সি তে, কিন্তু সেখানেও এসএফআই ও আইসির সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে এসএফআই সমর্থনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা এই নির্বাচন জিততে কোমর বেঁধে নেমে ছিল। তার ফল হাতেনাতে পেয়েছে।

বহুদিন পর বামেরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে প্রেসিডেন্সি কলেজে ছাত্র সংসদ এসএফআই দখল করায়। যদিও এস এফ আই ছাত্র সংগঠনের এই জয়কে খুব একটা গুরুত্ব দেননি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বরং তাঁদের জয়কে খুব সাধারণ মাপকাঠিতে তিনি মেপেছেন। তিনি জানিয়েছেন এই জয় কোনোমতেই ঘুরে দাঁড়ানোর জয় বলে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। এর বেশি অবশ্য তিনি কিছু জানাননি।

এসএফআইয়ের এই জয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছে, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের রমরমা থাকা সত্ত্বেও প্রেসিডেন্সি কলেজে কিভাবে এসএফআই জয়যুক্ত হলো? তাহলে কি মানুষের মন ঘুরছে? তবে কি আবার পালাবদলের সূত্রপাত হলো রাজ‍্যে? দীর্ঘদিন ছাত্র সংসদের ভোট হয়নি এই রাজ্যে।

শুরুতেই এসএফআই জয়যুক্ত হওয়ায় তাদের আত্মবিশ্বাস যে অনেকটাই গড়ে উঠল সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যদিও শাসক শিবির থেকে এই জয়কে কোনই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। আপাতত পরবর্তী ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দিকে নজর দিয়েছে ছাত্র সংগঠনগুলি। পরিস্থিতি নজরে থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!