এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ছাত্র সংগঠনের প্রতিবাদের রাশ নিজের হাতে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক

ছাত্র সংগঠনের প্রতিবাদের রাশ নিজের হাতে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ ২৮ শে আগস্ট তৃণমূল ছাত্র সংসদের প্রতিষ্ঠা দিবস। আর এই প্রতিষ্ঠা দিবসে সারা রাজ্য জুড়ে একটি ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করা হয়েছে শাসক দলের পক্ষ থেকে। আর এই সভায় আজ বিকেল তিনটায় জয়েন্ট এন্ট্রান্স ও নিট ইউজি পরীক্ষা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিষেদাগার করতে চলছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার কয়েক ঘন্টা আগে মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান-বিক্ষোভ জানিয়ে এই প্রতিবাদের মহড়া দেবার কথা ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। কিন্তু আজ শুক্রবার সকালে তাদের অনুষ্ঠান পরিকল্পনার কিছুটা বদল দেখা গেল।মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তে তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রসংগঠনের বিক্ষভে নেতৃত্ব দিয়ে নিজেই প্রবল আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় সরকারকে।

প্রসঙ্গত আজকের ভাষণে প্রথমে তৃণমূল যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ শোনবার নির্দেশ দিলেন।আর তারপরে শুরু হলো কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক বোমাবর্ষণ। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি জানালেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থার তরফ থেকে ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকে। তিনি দাবি করেছেন, সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছিল দেশের করোনা সংক্রমনের পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় ইঞ্জিনীরিং ও ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব কিনা? প্রকৃত তথ্য গোপন করে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা জানিয়েছে, পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব। আর এ কারণেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট দেয় নি। এভাবে কেন্দ্রকে মিথ্যাবাদী অভিযুক্ত করতে দেখা গেল যুব সভাপতিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূল যুব সভাপতি জানালেন যে, দেশের ছাত্র-যুবকদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই তিনি এই দুটি সর্বভারতীয় পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ার দাবি তুলেছেন । সম্প্রতি দেশের করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ ও আরও ৬ টি রাজ্য সরকার সর্বভারতীয় পরীক্ষা দেওয়ার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, একথাও জানালেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে অভিযোগ জানিয়ে বলেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার ‘দম্ভ, অহঙ্কার এবং ঔদ্ধত্যের কারণে’ কোনভাবেই পরীক্ষাসূচি পরিবর্তনে ইচ্ছুক নয়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, আগে তো ছাত্র ছাত্রীদের প্রাণে বাঁচতে হবে, তারপরই তো ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়া সম্ভব হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি দেশে লকডাউনের ঘোষণা কালে প্রধানমন্ত্রীর দেশবাসীর প্রতি একটি বিশেষ বার্তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললেন,‘‘ আপনিই তো বলেছিলেন জান হ্যায়, তো জহান হ্যায়। এখন সে কথার কী হল? ’’

তৃণমূল যুব সভাপতি আরো জানালেন যে, প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৩০ লক্ষ ছাত্র ছাত্রী এই দুটি সর্বভারতীয় পরীক্ষায় বসতে চলেছেন। এই মুহূর্তে এই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির মধ্যে তাদের পরীক্ষার আয়োজন করা হলে এই পড়ুয়া ও তাদের পরিবার মিলে অন্তত ১ কোটি ২০ লক্ষ রাজ্যেবাসীর আশঙ্কা রয়েছে করোনা সংক্রমণের। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান যে , পরীক্ষা দিতে গিয়ে যদি ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে তার দায়িত্ব কি কেন্দ্রীয় সরকার নেবে? সংক্রামক পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নিতে হলে পরীক্ষার্থীদের সমস্ত দায় নিতে হবে কেন্দ্রকে এই দাবি তিনি তোলেন। তাই সমস্ত দিক বিবেচনা করে শেষপর্যন্ত তিনি এই পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানালেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!