এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা অতীত এবার এই চেনাজানা রোগই বাড়াচ্ছে চিন্তা, সামনে এলো নতুন তথ্য

করোনা অতীত এবার এই চেনাজানা রোগই বাড়াচ্ছে চিন্তা, সামনে এলো নতুন তথ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি করোনার আতঙ্কের মধ্যেই চেনা রোগের নতুন তথ্যে চোখ কপালে উঠেছে চিকিৎসকদের। কারণ করোনা আসার আগে পশ্চিমবঙ্গে যে রোগের চোখ রাঙানিতে মানুষের জীবন বিভীষিকা হয়ে উঠত সেটা ডেঙ্গি নামেই পরিচিত। আর সম্প্রতি দেখা গেছে মানুষ যদি একাধিকবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন তবে সেটি তার শরীরের জন্য মারাত্মক হতে পারে।

এই বিষয়ে চিকিত্‍সক মহলের একাংশ দাবি করেছে, প্রতি বছরই ডেঙ্গির উদ্বেগ লক্ষ্য করা যায়। সেখানে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বহু মানুষের মৃত্যুও হয়। সেক্ষেত্রে এই রোগের কারণ হিসেবে সাধারণত এডিস নামক মশার কামড়কেই দায়ী করা হয়। মানুষের শরীরে এই রোগের জীবানুর সংক্রমন হয় করে এই মশা।

সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ডেঙ্গি সম্পর্কে জানান হয়, ডেঙ্গি মুলত দুরকমের হয়। নন সিভিয়ার ডেঙ্গি এবং সিভিয়ার ডেঙ্গি। সেক্ষেত্রে নন সিভিয়ার ডেঙ্গির উপসর্গ হিসেবে জ্বর, মাথা ব্যাথা, গা-হাত-পা ব্যাথা, এবং দুর্বলতা দেখা যায়। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত চিকিত্‍সার মাধ্যমে রোগীর সেরে ওঠার সুযোগ অনেকাংশেই বেশী থাকে বলেই জানান তাঁরা।

তবে সেভেয়ার ডেঙ্গির ক্ষেত্রে আক্রান্তের প্লেটলেট একেবারে নেমে যাওয়ার পাশাপাশি প্লাজমা লিকেজ হয়ে রক্তক্ষরণও হয়। সেইসঙ্গে শরীরের একাধিক অরগ্যানও বিকল হতে পারে বলেও জানান চিকিৎসকরা। তাই এক্ষেত্রে রোগীর সেরে ওঠার সুযোগ অমনেকাংশেই কম থাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেইসঙ্গে ডেঙ্গির হাত হতে রক্ষা পেতে প্রতি বছরই রাজ্যে নানা প্রচার চালানো হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক সাবধানতা হিসেবে বাড়ির আশেপাশে জল জমতে না দেওয়া, রাতে ঘুমনোর সময়ে মশারির ব্যবহার করা নিয়ে জোর দেওয়া হয় বলেও জানা যায়। তবে এরই মাঝে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় চিকিত্‍সকরা দেখেছেন যে, প্রত্যেক ডেঙ্গি জীবানুর সেরোটাইপের মধ্যেকার অ্যান্টিজেনিক পার্থক্য আছে।

যার ফলে চিকিত্‍সকরা নিশ্চিত হতে পেরেছেন যে, একটি ভাইরাল স্ট্রেনে আক্রান্ত কোনো ব্যাক্তির একই ধরণের অ্যান্টিজেনিক্যালি আলাদা আলাদা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি বাড়াতে সেক্ষেত্রে অক্ষম হয়। ফলে তা পুনরায় ডেঙ্গির সংক্রণের জন্য উন্মুক্ত থেকে যায়। সেইসঙ্গে ওই সমীক্ষায় দেখা গেছে ভাইরাসের অ্যান্টিজেনিক বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

তাই কোট ভাইরাসগুলি রোগীর ইমিউনিটি সিস্টেমের রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভাইরাসগুলিকে ধ্বংস করে দেয়। ফলে সেই রোগীর একাধিকবার সংক্রমণিত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। যেহেতু এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে যায় তাই দ্বিতীয়বার রোগে আক্রান্ত হওয়া শরীরের জন্য মারাত্মক হয় বলেও জানান চিকিৎসকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!