এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > চেষ্টা করেও দলীয় কর্মীদের বিজেপিতে যাওয়া আটকাতে পারছে না তৃণমূল? মান বাঁচাতে শাস্তির ভাবনা?

চেষ্টা করেও দলীয় কর্মীদের বিজেপিতে যাওয়া আটকাতে পারছে না তৃণমূল? মান বাঁচাতে শাস্তির ভাবনা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিনকে দিন বিজেপির প্রভাব বাড়ছে। নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করলেও, যেভাবে তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে যোগদান করার হিড়িক করতে শুরু করেছে, তাতে ব্যাপক চিন্তায় ঘাসফুল শিবির। তাই এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগে কোন কোন নেতা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বা বিজেপিতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন, তাদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

অনেকে বলছেন, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। আর সেই কারণেই এখন প্রভূত সমস্যার আশঙ্কা করে বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে ঘর গোছানোর দিকে নজর দিতে শুরু করল ঘাসফুল শিবির। যার ফলস্বরুপ জেলায় দলের ভাঙ্গন আটকাতে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কারা কারা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তাদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হল। তবে এত কিছু করে কি আদৌ দলের ভাঙ্গন আটকানো সম্ভব হবে, এখন তা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 19 ডিসেম্বর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রাক্তন বিধায়ক সত্যেন রায়, তৃণমূল নেত্রী অনিতা বিশ্বাস এবং দেবাশিস মজুমদার যোগ দেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর তারপর থেকেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, নীচুতলার অনেক তৃণমূলের নেতা কর্মী বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে জেলা কমিটির বৈঠকে এই ব্যাপারে কড়া বার্তা দিতে দেখা গেল জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে।

জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যারা বিজেপির দিকে যেতে শুরু করেছেন, তাদের বোঝাতে হবে। তবে যারা বিজেপিতে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করে তৃণমূলের ক্ষতি করছেন, তাদের যে কোনোভাবে ছেড়ে দেওয়া হবে না, তাও স্পষ্ট করেছে জেলা নেতৃত্ব। স্বাভাবিক ভাবেই জেলা নেতৃত্বের এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে এবার ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “বিজেপিতে যারা যেতে চাইছেন তাদের আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। আমরা তাদের অনুরোধ করব, যাতে তারা দলের সঙ্গে থেকে যান। তবে অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে যারা দলের ক্ষতি করতে চাইছেন, তারা এখনই দল থেকে চলে যান। তারা চলে গেলে দলের কোনো ক্ষতি হবে না।” এদিকে আগামী দিনে নির্বাচনের জন্য ব্যক্তি নয়, টিম হিসেবেই যে সকলকে কাজ করতে হবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর অনেকেই তলায় তলায় বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই সমস্ত নেতাদের বার্তা দিতেই জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। যদিও বা তৃণমূল এই পদক্ষেপ নিলেও তাতে লাভের লাভ কিছুই হবে না বলে পাল্টা দাবি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, “আমাদের দলের দরজা সকলের জন্য খোলা। অনেকেই দলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। সকলকে স্বাগত।” আর এখানেই প্রশ্ন, যেভাবে তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরতে শুরু করেছে, তাতে জেলা সভাপতি কড়া বার্তা দিলেও, শেষ পর্যন্ত দলে ভাঙ্গন আটকানো সম্ভব হবে কি! সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!