এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ছত্তিশগড়ে সহকর্মীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে শহীদ হলেন বাংলার দুই তরুন জওয়ান বিশ্বরূপ-সুরজিৎ

ছত্তিশগড়ে সহকর্মীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে শহীদ হলেন বাংলার দুই তরুন জওয়ান বিশ্বরূপ-সুরজিৎ


সীমান্তে শত্রুর আক্রমণে সিপাহীদের শহীদ হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। আবার দেশের আভ্যন্তরীণ মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় সন্ত্রাস মোকাবেলা করতে গিয়েও বীরগতি প্রাপ্ত হয়েছেন অনেক জওয়ান। কিন্তু সম্পূর্ণ বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল ছত্রিশগড়ের নারায়নপুর। যেখানে নিজের সহকর্মীর গুলিতে প্রাণ হারাতে হল ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিশের জওয়ানকে।

স্বাভাবিকভাবেই দেশের অর্ধ সৈনিক বলে কর্মরত সিপাহিদের প্রতি মুহূর্তেই মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কর্তব্য পালন করতে হয়। সেক্ষেত্রে শত্রুর হাতে মৃত্যু অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। বাংলার বিশ্বরূপ মাহাতোর বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে সেই ধরনের আশঙ্কা অবশ্যই ছিল। বস্তুত, মাওবাদী এলাকায় সন্তানের ডিউটি পড়েছে, এই কথা শুনে আশঙ্কার মেঘ আরও বেশি ঘনীভূত হয়েছিল পরিবারের উপরে।

কিন্তু মঙ্গলবার রাত পোহাতেই ভয়ানক খবর পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বরূপ মাহাতোর বাড়িতে এসে পৌঁছলো। যাতে করে কার্যত ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা বলে খবর। জানা যায়, বিশ্বজিতের সহকর্মী আধা সৈনিক সেনার সদস্য মাসুদুর রহমানের সঙ্গে বচসা বেধেছিল বঙ্গসন্তান বিশ্বরূপ মাহাতোর। যেই বাক-বিতণ্ডার খেসারতে কার্যত প্রাণের বিনিময়ে দিতে হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যাচ্ছে, ছত্রিশগড়ের নারায়ণপুরের কাদেনারে ক্যাম্পে পুরুলিয়া নিবাসী বিশ্বরূপ মাহাতোর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে অন্য আরেকজন জাওয়ান মাসুদুল রহমান। আর তার পরেই তার গুলির শিকার হতে হয় বিশ্বরূপকে। শুধু তাই নয়, বর্ধমান জেলার সুরজিৎ সরকার নামে আরেকজন আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানও নিহত হয় মাসুদুল রহমানের ছোড়া গুলিতে।

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই দিনটি অত্যন্ত শোকের কারণ। এই দুজনের পাশাপাশি আত্মহত্যা করেছে মাসুদুল রহমান বলেও খবর। আর সেই মাসুদুল রহমান নিজেও বাংলারই বাসিন্দা। তার বাড়ি নদীয়া জেলাতে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। জানা যায়, ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাতেও নিজের ছেলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন বিশ্বরূপ মাহাতোর মা ভাগ্য মাহাতো। সেই সময় পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল বলেই জানিয়েছেন নিহতের মা।

কিন্তু পরের দিন সকালবেলা ঘুম ভাঙ্গার সঙ্গে সঙ্গেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে খবর আসে যে, নারায়ণপুরের কাদেনার ক্যাম্পে গুলি চলেছে। সেই খবর আসার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যত সকলের মনে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। আর এদিন এই আশঙ্কাকে সত্যি করেই শেষ পর্যন্ত ঘরের ছেলে নিহত হওয়ার খবর চলে আসে পরিবারের কাছে। পুরুলিয়ার বিশ্বরূপ মাহাতোর পরিবারের পাশাপাশি বর্ধমানের সুরজিতের পরিবারেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কিন্তু এখন সকলেরই অনুসন্ধানের বিষয়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ আধাসামরিক বাহিনীর ক্যাম্পের মধ্যে সহকর্মী বন্ধুদের মধ্যে এমন কি নিয়ে বাক বিতন্ডা বেধে গেল, যে শেষ পর্যন্ত তিনটি তাজাপ্রাণ হারিয়ে গেল! সেই প্রশ্নের উত্তরের দিকেই তাকিয়ে শোকার্ত সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!