এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > চীনের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য পূর্ণ প্রস্তুত ভারত? নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সফল প্রয়োগে আরও বাড়ল শক্তি

চীনের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য পূর্ণ প্রস্তুত ভারত? নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সফল প্রয়োগে আরও বাড়ল শক্তি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শত্রুপক্ষকে দেখে আর ভয় নয়, বরঞ্চ শত্রুপক্ষকে ভয় পাওয়ানোর সময় এসে গেছে, এমনটাই মনে হচ্ছে ভারতের প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার সাজসজ্জা দেখে। বস্তুত চীনের সঙ্গে ভারতের অন্তর্দ্বন্দ্ব সম্পর্কে জানতে বাকি নেই কারো। এবং চীন থেকে যে কিছুদিন আগে পর্যন্ত যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার কথাই বলা হয়েছিল, সেই কথা সামনে এসেছিল বহুবার।

এমন পরিস্থিতিতে ভারতবর্ষ যে পিছিয়ে থাকতে রাজি নয়, সেই কথাই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর কথায় কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল, ভারত বিনাযুদ্ধে কাউকে এতোটুকু জমি ছেড়ে দিতে রাজি নয়। তারা প্রধানমন্ত্রীর কথামতোই সমস্ত সময় দেশের সীমান্তে পাহারায় রয়েছেন বলেও জানিয়েছিলেন তাঁরা।

এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি রাজস্থানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপনের মধ্যে দিয়ে সেই কথাটিই যেন আরো ভালো ভাবে ভারত প্রমাণ করতে উদ্যত হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, রাজস্থানের পোখরানে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ট্যাংকের সম্পর্কে জানা গেছে। সম্প্রতি বিধ্বংসী এই ‘নাগ’ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করতে দেখা গেল প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা DRDOকে।

গত সেপ্টেম্বর মাসে বালাসোরের এপিজে আব্দুল কালাম টেস্টিং রেঞ্জ থেকে এই Hypersonic Test Demonstrator Vehicle (HSTDV)টি ভারত উৎক্ষেপণ করে বলে জানা গিয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশ-আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের কাছে এই প্রযুক্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছিল এতদিন। তবে এবার সেই তালিকায় ভারতেরও নাম জুড়ল চলেছে বলেই জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল সকাল ৬.৪৫ মিনিট নাগাদ পোখরানের ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জ থেকে এই নাগের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয় বলে জানা যায়। এরপর নাগ অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড মিসাইলটি নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানে বলে জানা যায় DRDO সূত্রে। সেই সঙ্গে জানা যায় এর আরো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কথা।

জানা গেছে অবস্থা বুঝে এটি নাকি আকাশ ও জমি থেকে ছোঁড়া যায়। সেই সঙ্গে ৪ থেকে ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে নিশানায় পড়ে ধ্বংসলীলা চালাতে পারে এই নাগ। সেই সঙ্গে ইনফ্রারেড সেন্সরের মাধ্যমে শত্রু ফৌজের ট্যাংক খুঁজে বের করে সেটির উপর হামলা চালাতেও প্রস্তুত থাকে সে। শুধু তাই নয়, অত্যাধুনিক ‘সিকার’ বা এক ধরনের বিশেষ সেন্সর থাকায় এটি দিন বা রাত যে কোনও সময় প্রতিপক্ষের ট্যাংক ও দ্রুতগতিতে চলা সামরিক যান খুঁজে বের করতে সক্ষম বলে জানা গেছে।

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, বিগত দু’মাসে ১০টিরও বেশি মিসাইল পরীক্ষা করেছে ভারত। বস্তুত এটা করে যে ভারত বেজিংকেই বার্তা দিয়েছে সেটা বলাই বাহুল্য। জানা গেছে, এই মিসাইলগুলির মধ্যে রয়েছে আণবিক অস্ত্রবহনে সক্ষম অগ্নি থেকে ট্যাংক বিধ্বংসী নাগ মিসাইল। তবে এক্ষেত্রে নিজের ভূমির অখণ্ডতা বজায় রাখতেই যে ভারতীয় ফৌজ পালটা জবাব দেবে সেই কথাই বলা হয়েছে। ফলত সময় এসে গেছে শত্রুপক্ষের সাবধান হয়ে যাওয়ার, এমনটাই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!