এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > চীনকে উচিত শিক্ষা দিয়ে কোনঠাসা করতে আবারো বড়সড় পদক্ষেপ মোদী সরকারের! সামনে এল কড়া বার্তা

চীনকে উচিত শিক্ষা দিয়ে কোনঠাসা করতে আবারো বড়সড় পদক্ষেপ মোদী সরকারের! সামনে এল কড়া বার্তা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিশ্ব অতিমারী করোনা পরিস্থিতিতেও চীন ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে সংঘাতের বার্তাবরণ থেমে থাকেনি। তবে ভারত ও চীন সীমান্ত সংঘাত বহু বছর ধরে চলে আসছে। কিছুদিন আগে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত এলাকাকে কেন্দ্র করে ভরতের ২০ জন বীর জওয়ান শহীদ হন। এই নিয়ে বিরোধীরা কেন্দ্র সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন।উল্লেখ্য, সেই সময় থেকে কেন্দ্রীয় সরকার চীনের প্রতি কড়া মনোভাব নিয়েছেন। চীনকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

তার মধ্যে একটি হলো ৫৯ টি চীনা অ্যাপকে পুরোপুরি ভাবে নিষিদ্ধ করেন ভারত সরকার। ভারত সরকার টিকটক , হ্যালো এর মত অনেকগুলো জনপ্রিয় অ্যাপ ভারতে বন্ধ করে দেয়। এবারে আবার ভারত সরকার সেই সব চীনা অ্যাপ সংস্থা গুলিকে কড়াভাবে বার্তা দেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর ভাবে জানানো হয় যে, নির্দেশ না মানলে সেই সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সূত্রের খবর, সবকটি চিনা সংস্থাকে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক থেকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে নিষিদ্ধ হওয়ার পর অ্যাপগুলি কোথাও চলে তাহলে তা শুধুমাত্র বেআইনি নয়। সেই সব সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে অভিযোগ এই চিনা অ্যাপগুলি ভারতে ব্যবহারকারিদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করছে। যা ভারতের মতো দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এছাড়া ভারতের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিপদজনক বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ আসছিল যে চিনা অ্যাপগুলিতে ভারতীয়দের তথ্য সুরক্ষিত নয়। সেই মর্মে তদন্ত করতে গিয়ে ভারত সরকারের কাছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ধরা পড়ে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এই চিনা অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ভারতে জনপ্রিয় এই চিনা অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ হলে ভারতীয়দের মধ্যে কিছু সমস্যা দেখা দিলেও তাঁরা জাতীয় তথা দেশের স্বার্থের কথা ভেবে প্রত্যেক দেশবাসী কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।তবে আশার খবর এই চিনা অ্যাপগুলির বিকল্প হিসেবে ভারত সরকার অনেক দেশিয় অ্যাপ চালু করেছেন যা দেশবাসীর কাছে স্বস্তির খবর।

করোনা পরিস্থিতিতে সামাল দিতে গিয়ে যখন বিভিন্ন দেশ বেসামাল সেই রকম পরিস্থিতিতেও ভারত – চিন সীমান্তে বারবার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তার পরিনতিতে ১৫ ই জুন লাদাখের গালওয়ানে ভারত- চিন সংঘর্ষে শহীদ হন ২০ জন বীর ভারতীয় জওয়ান। এরপরই দেশ জুড়ে সাধারণ মানুষ চিনাদ্রব্য বয়কট করতে শুরু করে।অপরদিকে ভারত সরকার সুকৌশলে চিনা অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।যা চিনের কাছে অর্থনৈতিক ভাবে এক বড় ধাক্কা বলে বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি।

একদিকে আমেরিকা প্রথম থেকে দাবি করে আসছে যে, করোনা ভাইরাস চিনের ল্যাবে তৈরি করা হয়েছে। যদিও চিন পুরোপুরি ভাবে অস্বীকার করেছে।এই পরিস্থিতিতে আমেরিকা সহ বেশ কিছু দেশ চিন থেকে তাদের ব্যবসা বানিজ্য সরিয়ে ভারতে ব্যবসা করার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করছেন।আবার সেই পরিস্থিতিতে ভারত সরকার চিনা অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করার ফলে চিনা অর্থনীতিতে খারাপ প্রভাব পড়বে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে।তবে শেষ পর্যন্ত চিন – ভারত সম্পর্ক কোন দিকে যায় তা দেখার বিষয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!