এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > করোনা নিয়ে একই সাথে বড় আশা ও আশঙ্কার কথা জানালেন চীনার গবেষকরা! মিলল বড়সড় ইঙ্গিত

করোনা নিয়ে একই সাথে বড় আশা ও আশঙ্কার কথা জানালেন চীনার গবেষকরা! মিলল বড়সড় ইঙ্গিত


চীনের গবেষকদের মতে জুনের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিদিন ১৫ হাজার করে মানুষ ভারতে করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষে জেঁকে বসেছে করোনা ভাইরাস। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার করে মানুষ এই দেশে আক্রান্ত হয়ে চলেছেন। করোনা আক্রান্তের নিরিখে ভারতবর্ষ এই মুহূর্তে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। এরইমধ্যে ভারতবর্ষে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লক্ষের বেশি।

এরই মধ্যে স্বস্তির আশ্বাস দিয়েছেন এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। তার মতে আগামী তিন মাসের মধ্যেই করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন বর্তমানে যে হারে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে তাতে করোনাকে কব্জা করাই তাঁদের এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এই মুহূর্তে স্তব্ধ না করা গেলে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি দাঁড়াতে পারে যে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আর কোন জায়গা পাওয়া যাবে না। এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন যে পরিমাণে চিকিৎসকরাও আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের স্যানেটাইস করা পিপিই, মাস্ক এবং গ্লাভসের ব্যবহার করা উচিত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তাঁর ধারণা অনুযায়ী আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই আবিষ্কার হয়ে যেতে পারে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক। তবে এক্ষেত্রে খানিক সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন আগামী ২-৩ মাসে প্রতিষেধক আবিষ্কার না হলেও আগামী বছরের শুরুতেই প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়ে যাওয়ার পুরোপুরি সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।

তৎসত্ত্বেও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাবে। রণবীরের মতে করোনা ভাইরাসের জীবাণুটি প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাওয়ায় ভেসে থাকতে পারে। সুতরাং ভারতবর্ষ লকডাউন উঠিয়ে চেনা ছন্দে ফিরলেও সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাই প্রত্যেকটি মানুষকে নিজস্ব সাবধানতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

গুলেরিয়া এদিন ওই সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতবর্ষে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম। কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে জনসংখ্যা অনেক বেশি থাকায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। কার্যত লকডাউন উঠে যাওয়ার পর সংক্রমণের হার অনেকটাই বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।

এমন পরিস্থিতিতে তিনি যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত মেনে চলতে হবে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং। করোনা সংক্রমণ রুখতে মেনে চলতে হবে নির্দিষ্ট নিয়মাবলী। বিশেষত ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোন ব্যক্তি এবং অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নিয়ম পালন করে চলতে হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!