এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > চীনের সঙ্গে যোগ ও ঘুষকাণ্ডে নাম জড়ালো বিরোধী শীর্ষনেত্রীর ছেলের! উত্তাল গোটা দেশ!

চীনের সঙ্গে যোগ ও ঘুষকাণ্ডে নাম জড়ালো বিরোধী শীর্ষনেত্রীর ছেলের! উত্তাল গোটা দেশ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চীনকে নিয়ে ত্রাহি ত্রাহি রব লেগেই রয়েছে। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারণে গোটা দুনিয়া এখন ক্ষেপে রয়েছে এই দেশটির বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ভারত সহ আমেরিকা থেকে শুরু করে অনেক দেশ ডিজিটালি ব্যান করেছে চীনকে। এমনিতেই সময়টা ভালো যাচ্ছে না, তারওপর নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগ এলো সেই চীনের বিরুদ্ধেই।

নেপথ্যে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান, যিনি কোকো নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন। সম্প্রতি একটি চীন নিয়ে ওয়াশিংটনের একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানা যায়, বাংলাদেশের একজন আধিকারিককে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে বাংলাদেশে সিসিসিসির সাবসিডিয়ারি, চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করেছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশের আদালত একজন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির থেকে ঘুষ নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে। এরপর আদালত তাঁকে কারাদণ্ড দিয়েছেন। ওই সম্মেলনে বলা তথ্য অনুযায়ী, চিনা সংস্থাগুলো বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করে। দক্ষিণ চিন সাগর, জিবুতি বন্দর ও অন্যান্য স্থানেও এই একই ছবি দেখা গিয়েছে।

সম্প্রতি চিনা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আমেরিকার বাণিজ্য দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা এবং চিনের নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারির একটি সম্মেলনে, চিনা সংস্থার কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। আমেরিকার বিদেশ দপ্তর থেকে প্রকাশিত ট্রান্সক্রিপ্টে বিষয়টি স্থান পেয়েছে। আর সেটা নিয়েই উত্তাল হয়েছে দেশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোকো ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের সময় মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার হন। ২০০৮ সালে ১৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় গিয়ে বসবাস ও চিকিৎসা শুরু করেন। এরইমধ্যে ২০০৯ সালের ৯ জানুয়ারি যুক্তরাস্ট্রের বিচার বিষয়ক দপ্তর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোকোর বিরুদ্ধে ঘুষের প্রায় ৩০ লক্ষ ডলার বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগের কথা জানিয়েছিল।

তাদের তথ্য অনুযায়ী, সিমেন্স এজি এবং চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে এই ঘুষ লেনদেন হয়েছিল। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে কনটেনার টার্মিনাল নির্মাণের ঠিকাদার নিয়োগেরর জন্য কোকো চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির কাছ থেকে এই ঘুষ নেন।

ফলে ২০০৫ সালে তারা কাজটি পান। ২০০৯ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন কোকোর বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় ২০১১ সালে আদালত কোকোকে ছ’বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি কুয়ালালামপুরের মালয়েশিয়া জাতীয় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ও সেখানেই মারা যান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!